কাঁচা রসুন: সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধের জন্য একটি শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান।
আজকের আলোচ্য বিষয় হল-কাঁচা রসুন: সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধের জন্য একটি শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান। সুনকে আমরা অনেকেই শুধু মসলা হিসেবেই চিনি। রান্নার স্বাদ বাড়াতে রসুনের ব্যবহার সবসময়ই হয়ে কিন্তু কাচা রসুন আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাত্রার সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটা জরুরি তা আমরা অনেকেই জানি না।
রসুন সুস্বাস্থ্যের জন্য আল্লাহ পাকের দেয়া এক বিশেষ নেয়ামত। বিশেষ করে হার্ট সুস্থ্য রাখার জন্য কাচা রসুনের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।
এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। রসুনের এই বৈশিষ্টের কারণে হৃদরোগ এমনিতেই দূরে থাকে। তাই হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে ১/২ টি কাঁচা রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেতে হবে। চিবিয়ে খেতে যদি সমস্যা হয়বতাহলে ছোটছোট কুচি করে টেবলেট এর মতো পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি রসুন কুচি মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন নামের একটি শক্তিশালী যৌগ। যা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ।
এছাড়াও রসুনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। রসুনের মধ্যে বহুবিধ পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভেষজগুণ।
রসুনের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনের মধ্যে রয়েছে ১৫০ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া ভিটামিন B1, B2, B3, B6, ফোলেট, ভিটামিন C, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং জিঙ্কের একটি বড় উৎস হলো এই রসুন।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকের দিকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য কাচা রসুনের ব্যবহার শুরু হয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায় এর ব্যবহার করেছিলেন৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আসুন জেনে নেই কাচা রসুন খেলে কি কি রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়:
রসুনের বহুবিদ স্বাস্থ্য উপকারীতাঃ
দৈনিক দুই কোয়া কাচা রসুন খেলে যেসব রোগ-বালাই থেকে সুস্থ্য থাকতে পারবেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১। অন্ত্রের জন্য ভাল
খালি পেটে কাচা রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় তাদের কার্যাবলী সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারে। কাচা রসুন ডায়রিয়া প্রতিরোধের পাশাপাশি হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এবং ক্ষুদামদা দূর করতে অনেক উপকারী।রসুন স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, সকালে খালি পেটে দুই কোয়া কাচা রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পরিপাকতন্তের নানা সমস্যা দূর করতে এই রসুন এর ভুমিকা অপরিসীম।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি কি কিছুদিন পরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে মনে হচ্ছে? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে নিয়মিত রসুন-মধুর মিশ্রণ খেতে পারেন। এটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়াবে।
কারণ, রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন। এটি বিপাক ক্রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে। ওজন কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের প্রতিটি কোষকে শক্তিশালী করে এবং রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩। চুল পড়া বন্ধ করে রসুনের রস
চুলকে লম্বা ও ঘন করতে রসুন বিশেষ উপকারী। কারণ, রসুনে উচ্চমাত্রায় অ্যালিসিন থাকে যা চুল পড়া রোধ করতে জাদুর মতো কাজ করে। সপ্তাহে এক/দুই দিন রসুনের পেস্ট পুরো মাথায় মেসেজ করে ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ভালো ফলাফল পাবেন ইন্সা আল্লাহ।
৪। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি নাসক, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, মানসিক অবসাদ এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করতে বেশ উপকারি।
৫। রসুন ফুসফুস ভালো রাখে
আদা-রসুন ফুসফুসের ভালো যত্ন নেয়। এসব মসলায় থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুস পরিষ্কার রাখে এবং এর কার্যকারিতা অনেকগুণ বাড়ায়। তাছাড় রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশির মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে। রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের প্রয়োজনীয় উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।
৬। রসুন যক্ষ্মা প্রতিরোধ করে
যক্ষ্মা বা টিবির চিকিতসায় ২/৩ কোয়া রসুন কুচি কুচি করে একটু পরপর খেলে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করা সম্ভব। তবে এটা নিয়মিত খেতে হবে।
৭। হজমের সমস্যা মুক্তি
২-৩টি রসুনের কোয়া কুচি করে সামান্য ঘিতে হালকা ভেজে নিন। এটি ভাত বা সবজির সাথে কিংবা এমনিই খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমাবে।
৮। ঠান্ডা সর্দি-কাশি সাড়াতে
নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে ঠান্ডা সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত থাকবেন ইন্সা আল্লাহ। রসুন কফের সমস্যায় অনেক উপকারি। খুব সামান্য তেলে ১/২ কোয়া রসুন মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে বুকে জমে যাওয়া কফ থেকে মুক্তি পাবেন।
৯। যৌন সমস্যার সমাধানে
শুক্রানু বাড়াতে রসুন একাই একশো। নিয়মিত দুই কোয়া কাঁচা রসুন খালি পেটে খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন নিয়ম করে দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন এর সাথে খেলে বা নরমালি চিবিয়ে খেলে হারানো যৌন শক্তি ফিরে পাবেন ইন্সা আল্লাহ। তবে খাওয়ার পরে একটু গরম পানি বা দুধ খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
যৌবন শক্তি বাড়ানোর জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। দুই চামচ কাঁচা আমলকির রসের সাথে দুই কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খেলে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
১০। কাচা রসুন হৃদপিন্ডের মহৌষধ
যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য কাচা রসুন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আমরা জানি রসুন কোলেস্টরল কমাতে দারুণ কাজ করে। এই কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি একেবারেই কমে যায়। তাছাড়া ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে গেলে তা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। রসুনে অ্যালিসিনের উপস্থিতি থাকায় রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন আপনার হার্ট সুস্থ্য রাখতে ভীষণ কার্যকরী।
১১। গিট বাতের সমাধানে
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রসুন গিট বাত কমাতে অনেক উপকারী। দৈনিক নিয়মিত ২ কোয়া করে কাচা রসুন খান। গিটের বাত সেরে যাবে ইন্সা আল্লাহ।
১২। ক্যান্সের প্রতিরোধে রসুন
রসুন কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং গলব্লাডার ক্যান্সার থেকেও মুক্ত রাখে। মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুকি কমায়। এমনকি রেক্টাল ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাছাড়া নিয়মিত কাচা রসুন খেলে শরীরে সব ধরনের ক্যানসারের প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।
অ্যামেরিকান ইন্সটিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চ এর তথ্য অনুযায়ী, “পরীক্ষাগারে গবেষনায় দেখা গেছে রসুনে যে অ্যালিয়াম বলে বস্তুটি আছে তাতে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন আছে, তবে এর সপক্ষে মানুষের ওপরে প্রয়োগ করা কোন প্রমাণ নেই।” তা সত্ত্বেও, সাইটে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে “ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য রসুন খাওয়া” একটি ভালো অভিপ্রায়।
১৩। ব্রনের সমস্যা দূর করতে
রসুনের মধ্যে অনেক গুন আছে।এটি ব্রনের সমস্যায় অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে, এই রসুনের রস আচিলের ক্ষেত্রে উপকার করে।
১৪। পেটের কৃমি নিরাময়ে
কাচা রসুন চিবিয়ে খেলে পেটের কৃমি নিরাময়ে অনেক উপকার করে থাকে। কাচা রসুন দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
১৫। বুক ধরফর কমায়
বুক ধরফর করলে এবং হাত কাপলে খালি পেটে কাচা রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন।
১৬। রক্ত পরিষ্কার রাখে
রক্ত পরিষ্কারে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন কুচি এক গ্লাস কুসুম গরম পানি দিয়ে সেবন করতে হবে।
১৭। মেয়েদের হাড়ের গঠন মজবুত করে
কাচা রসুন খাওয়ার ফলে ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো হয় মেয়েদের৷ তাই যেসব মেয়েদের হাড়ের সমস্যা আছে তারা দৈনিক দুই কোয়া কাচা রসুন খেতে পারেন।
১৮। রসুন দাত ব্যাথা কমায়
লবঙ্গের পাশাপাশি রসুনও দাঁত ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর। রসুন চিবিয়ে খেলে বা রসুন বাটা আক্রান্ত দাঁতে লাগালে ব্যাথা কমে যায়।
১৯। কাচা রসুন খেলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়।
নিয়মিত কাচা রসুন খেলে শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়। শরীর থাকে সতেজ।
রসুন কাঁচাই কেনো খেতে হবে??
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুনের যত উপকারিতা রয়েছে, রান্না করলে তা অনেকটাই কমে যায়। কাঁচা রসুন কাটলে বা বাটলে যে ঝাঁঝালো গন্ধ বের হয়, তার মূল কারণ হলো অ্যালিসিন। রসুন কাটার পর সঙ্গে সঙ্গে না খেলে এর উপকারি গুণ আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। তাই শুকনো বা রান্না করা রসুনে উপকারিতা একেবারেই কম থাকে। প্যাকেটজাত রসুন বাটা বা সাপ্লিমেন্টেও এই গুণাগুণ পাওয়া যায় না। সেজন্য সুস্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা রসুন খাওয়া অনেক বেশি উপকারী।
পোস্ট ট্যাগ: রসুনের উপকারিতা,রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা,রসুন খাওয়ার উপকারিতা,কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা কি,কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,রসুন খাওয়ার উপকারিতা,খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা,রসুন খাওয়ার উপকারিতা কি,খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা,কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা কি,রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা,রসুন,রসুন এর উপকারিতা,কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও অপকারিতা,কাঁচা রসুনের উপকারিতা।
সতর্কবার্তা:
রসুন যত উপকার ততটা ক্ষতিকরও হতে পারে। অতিরিক্ত রসুন অর্থাৎ দিনে ২/৩ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন ক্ষতির কারণ হতে পারে। যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হয় তাদেরকে অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। রসুন খেলে যাদের মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয় তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভালো।
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত হলে সহজে বন্ধ হয় না, তাদের অতিরিক্ত রসুন খাওয়া বিপদ জনক হতে পারে। কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে যদি অস্বস্তি বোধ হয় সেক্ষেত্রে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই উচিত। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুরপাকস্থলীতে গিয়ে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।
শেষ কথা
উপড়ের আলোচনা থেকে জানলাম যে, রসুনের বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারীতা পেতে তা কাঁচা খেতে হবে। আশা করি কাঁচা রসুনের উপকারিতা কি কি, খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা এবং কাচা রসুন খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সপ্তাহে প্রায় ৪/৫ দিন ২/৩ কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাই। এতে আমি বহুবিধ উপকার পেয়েছি। আপনারাও ট্রাই করতে পারেন। বিশেষ করে হৃদরোগ, যৌন সমস্যা, ঠান্ডা সর্দি কাশি দূর করতে রসুনের জুড়ি নেই।
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url