দৈনিক ২ টি লবঙ্গ আপনার সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিশেষ ভুমিকা রাখবে। লবঙ্গ এর উপকারীতা কি কি।

লবঙ্গের পরিচিতি

মসলা হিসেবে লবঙ্গ সকলের পরিচিত। এর ইংরেজি নাম Clove এবং এর বোটানিকাল নাম: Syzygiumaromaticum। ‘লবঙ্গ’ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। ‘লবঙ্গ’কে লং বলেও ডাকা হয়। লবঙ্গের সুগন্ধের মূলকারণ “ইউজেনল” (Eugenol) নামের যৌগ। সুগন্ধি মসলার পাশাপাশি লবঙ্গ পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণে ভরপুর। ছোট্ট একটি লবঙ্গ তে আল্লাহ এতো পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট দিয়ে রেখেছেন যা সত্যিই আশ্চর্যজনক। আমাদের জন্য আল্লাহ পাকের এক অশেষ নেয়ামত ক্ষুদ্র এই লং।


লবঙ্গের পুষ্টিমান

প্রতি ১০০ গ্রাম লবঙ্গে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার থাকে। খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক –কমবেশি সবই আছে। আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট রয়েছে। এইসব যৌগের মধ্যে এন্টি অক্সিডেন্ট আছে। আসুন লং এর উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

লবঙ্গ



লবঙ্গ এর যত স্বাস্থ্য উপকারীতা

প্রতিদিন সকালে ও রাতে মাত্র ২ টি করে লং বা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে নিম্নলিখিত উপকার গুলো পাওয়া যায়। লং এর স্বাস্থ্য উপকারীতা-


১. দাঁত ব্যথা কমায়:

ইতিহাস বলে, খ্রিষ্টপূর্ব তিন শতকে চীনের হান রাজবংশের শাসনামলে নাকি সেখানকার রাজ্যসভায় মুখে লবঙ্গ রেখে প্রবেশ করতে হতো। কারণ, এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই উপকারী। মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করতে বেশ কার্যকর। লবঙ্গ তে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যমান থাকে। যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষেই দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের একটি কমন উপাদান হলো এই লবঙ্গ।


২। পেট ফাপা এবং পেটের গোলযোগ উপসম করে

প্রাচীন কাল থেকেই পেট ফাঁপা রোগ নিরাময়ে লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। লবঙ্গ চুষে খেলে খেলে তা এনজাইম বৃদ্ধি করে। যা বদ হজম, অগ্নি মান্দ্য (খিদে না হওয়া), পেটের গ্যাস, পেট ব্যথা, অজীর্ণ, ক্ষুদামান্দা, এবং কলেরা বা আন্ত্রিক রোগের উপকার সাধন করে।


৩। সর্দি–কাশি ও ঠাণ্ডা কমায়: 

সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু শতাব্দী ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে বা মুখে রেখে চুষলে সর্দি-কাশি, কফ, অ্যাজমা, গলাফুলে ওঠা, শ্বাস কষ্টে সুফল পাওয়া যায়।


৪। বমি বমি ভাব দূর করে: 

লবঙ্গ বমি বমি ভাব দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। ট্রেনে বা বাসে যাওয়ার সময় যাদের মাথা ঘুরতে থাকে ও বমি এসে যায়, তারা মুখে একটি লবঙ্গ রেখে সেই রস চুষলে বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা কমে যাবে। গর্ভবতী মায়েরা সকালের বমিবমি ভাব দূর করতে লবঙ্গ চুষতে পারেন।


৫। সাইনাসাইটিসে উপকারী 

সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারি। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গে বিদ্যমান ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান আছে, যা সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।


৬। মাথা ব্যথা কমাতে

প্রচন্ড রোদ এবং ঠান্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। দুটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন। খুব দ্রুত মাথা ব্যাথা কমে যাবে। কারণ লবঙ্গ হচ্ছে ব্যাথা নাশক।


৭। যৌন শক্তি বাড়ায়

লবঙ্গ হলো কামোদ্দীপক। এর সুগন্ধ মানসিক অবসাদ, শরীর ও মনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করে। লবঙ্গে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েড এবং স্যাপোনিন, যা যৌন ইচ্ছাকে বাড়িয়ে তুলে বা কামশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। এটি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্রুত বীর্যপাত রোধ করতে বিশেষ উপকারী।


৮। মানসিক অবসাধ ও উৎকণ্ঠা কমায়

লবঙ্গ দিয়ে বানানো রঙ চা খেলে স্ট্রেস কমে এবং মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠে। তাই মানসিক অবসাধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত লং দিয়ে সেদ্ধ করা গরম পানি বা রঙ চা পান করুন।


৯। ব্রণের চিকিৎসায় কার্যকর

যাদের মুখে ব্রণ বা ব্রণের পুরোনো দাগ এর সমস্যা আছে, কোন ভাবেই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না, তারা ব্রণ বা ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গ বেটে পেস্ট করে ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা পর ফেইসওয়াস দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের সমস্যা চলে যাবে ইন্সা আল্লাহ। তাছাড়া নিয়মিত লবঙ্গ চুষে খেলে মুখে নতুন করে ব্রণ হবে না।


১০। রক্ত পরিশোধন করে: 

লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো বের করে দিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 


১১। পিপাসা রোগে লং উপকারী

যাদের একটু পরপর পানির পিপাশা পায়, বারবার পানি পান করতে হয়, তারা সকালে ও বিকালে ১ টি করে লবঙ্গ চুষে খেলে-পিপাসা রোগ চলে চলে যাবে।


১২। খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে

ডায়রিয়া এবং জ্বরে ভোগার পর সাধারণত খাবারে অরুচি দেখা দেয়। কোন সুস্বাদু খাবার খাওয়ার রুচি থাকেনা। সেক্ষেত্রে তারা সকালে খালি পেটে ২ টি এবং দুপুরে খাবার পর ২ টি লবঙ্গ চুষে খেলে খাবারে রুচি ফিরে আসবে।


১৩। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

লবঙ্গ হজম ক্ষমতা বাড়ায়। লবঙ্গ খেলে পাকস্থলিতে এনজাইম নিঃসরন বাড়ে, যার কারনে যেকোনো খাবার সহজে হজম হয়।


১৪। কলেরা, যকৃতের সমস্যা এবং ক্যান্সার এর চিকিতসায় উপকারী।

লং এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিকারসিনোজেনিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়া, অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি, হেপাটো-প্রোটেক্টিভসহ আরো অনেক বায়ো অ্যাক্টিভ উপাদান বিদ্যমান। লবঙ্গে বিদ্যমান অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ সংশ্লিষ্ট জীবানুকে মেরে ফেলে কলেরা, যকৃতের সমস্যা, ক্যান্সার এবং বাতের ব্যথা ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করে।


১৫। ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: 

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রুগীর শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, লং এর রস শরীরের ভিতরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। লবঙ্গের নাইজেরিসিন উপাদানটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকর। ডায়াবেটিসের রোগীরা এই  রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস করলে দারুণ উপকার পাবেন।


১৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: 

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ এককথায় তুলনাহীন। যাদের কথা বলতে গেলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় তারা প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার সময় ২/৩ টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতে হবে। এই অভ্যাসটি নিয়মিত করলে মুখের দুর্ঘন্ধ চলে যাবে। তাছাড়া মাড়ির সমস্যা, যেমনঃ জিনজিভাইটিস ও পেরিওডনটাইটিস এর ক্ষেত্রে লং খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।


১৭। আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা কমায়

লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা, হাঁটুতে, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও লবঙ্গ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।


১৮। জ্বরের প্রকোপ কমায়: 

লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

 

১৯। ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে: 

নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ত্বকের নানানরকম সংক্রমণ এর হাত থেকে রেহাই পাবেন। লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত জীবানুদের মেরে ফেলার পাশাপাশি টক্সিক উপাদান গুলো বের করে দেয়। যার ফলে ত্বকে সংক্রমণ জনিত কষ্ট দ্রুত নিরাময় হয়। তাই ত্বকের সুস্থ্যতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত লবঙ্গ চুষে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।


২০। লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: 

লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লিভারসহ শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।


২১। শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানি দূর করে

নিয়মিত লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানিতে ইনস্ট্যান্ট আরাম পাওয়া যায়। তবে মধু আর লবঙ্গ একসাথে নিয়মিত খেলে শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানি পুরোপুরি বিদায় নিবে ইন্সা আল্লাহ। এই ঘরোয়া টোটকা নিয়মিত খেয়ে আল্লাহর রহমতে আমি ডাস্ট আ্যালার্জি ও হাঁপানি থেকে এখন পুরোপুরি মুক্ত।


২৩. হাড় শক্ত করে

যাদের হাড় দুর্বল তারা লবঙ্গ খেলে ভালো উপকার পাবেন। লবঙ্গে উপস্থিত ফেনোলিক উপাদান-ইউজিনল এবং ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করার পর বোন ডেনসিটির (হাড়েরঘনত্ব) উন্নতি ঘটায়। এটি হাড়ের ভেতরের মিনারেলের ঘাটতিও পুরণ করে।ফলে হাড়ের সমস্যা জনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি কমে যায়। নারীরা এবং বয়স্ক মানুষদের নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হাড়ের সমস্যা অনেকটা কেটে যায়।


২৪। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: 

গবেষনা মতে লবঙ্গ ফুসফুস এর ক্যান্সার এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। 

ট্যানিন, টারপেনয়েডস এবং ইউজেনল নামক বায়োএক্টিভ উপাদানে ভরপুর লবঙ্গ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। এটি কোষের ডিটক্সিফিকেশনের পাশাপাশি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কোষের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতাঃ

লবঙ্গের এর উপকারীতার কথা আমরা জানলাম। তবে জেনে রাখুন, অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সাধারণত দৈনিক ৪/৫ টি লবঙ্গ খাওয়াই যথেষ্ট। তাই আসুন জেনে নিই, অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেলে আমাদের শরীরে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে–


১। অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেলে শরীরের রক্তের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।

২। অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেলে   হাইপোগ্লাইসেমিয়া এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩। লবঙ্গের তেল অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এলার্জি দেখা দিতে পারে।

৪। যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তাদের কখনোই অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া উচিত না। কেননা, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়া এর কারণ হতে পারে। 


শেষ কথা

কড়া ঝাঁজের জন্য অনেকেই লবঙ্গ খেতে চান না। কিন্তু এটা বোকামি। লবঙ্গ এর অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারীতার কথা মাথায় রেখে লবঙ্গ কে দূরে সড়িয়ে না রেখে দৈনিক এটলিস্ট ২ টা করে লবঙ্গ খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। সকালে খালি পেটে ১ টা আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চকলেটের মতো করে চুষে খেয়ে বাকি অংশ চিবিয়ে গিলে ফেলুন। এটা আপনাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অনেক ফিট রাখবে। তাই লবঙ্গের নানা গুণাগুণের কথা মাথায় রেখে রোজ নিয়ম করে লবঙ্গ খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই। 


স্বাস্থ্য আপনার, এটাকে সুস্থ্য রাখার দায়ও আপনার। সুস্থ্য থাকার জন্য আল্লাহ পাক আমাদের চারপাশে যেসমস্ত উপাদান দিয়ে রেখেছেন তা সঠিক নিয়মে গ্রহণ করা উচিত। আর আল্লাহর কাছে সুস্থ্য দেহের জন্য বেশিবেশি দোয়া করা উচিত। সুস্থ্য দেহ ও মন আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ট নেয়ামত। আমরা এই নেয়ামতের বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা করবো ইন্সা আল্লাহ।



FAQ:


১। খালি পেটে লং খেলে কি হয়?

প্রতিদিন খালি পেটে লং খেলে হজম শক্তি বাড়ে, গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা কমে এবং দাতের সমস্যার সমাধান করে।


২। লং কিভাবে খাবেন বা লং খাওয়ার নিয়ম?

২/৩ টি লং মুখে নিয়ে চকলেট এর মতো চুষতে থাকুন। নরম হয়ে আসলে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন।


৩। রাতে ঘুমানোর আগে লং খেলে কি হয়?

রাতে ঘুমানোর আগে লবঙ্গ খেলে রাতের খাবার সহজে হজম হয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং মুখের দুর্ঘন্ধ দূর হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url