উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া-উদ্যোক্তা হওয়ার আগে কি কি ভাববেন
বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবার নতুন করে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন কোন টপিক নিয়ে সে বিষয়টি হলো উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া এবং উদ্যোক্ত হওয়ার আগে কি কি ভাববেন। চাকরি নামক সোনার হরিণের পিছনে না ছুটে আপনার চিন্তা করছেন যে উদ্যোক্তা হবেন কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়াগুলো আপনারা পাচ্ছেন না। তাই আজকে আমাদের এই উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া এবং উদ্যোক্ত হওয়ার আগে কি কি ভাববেন এ বিষয়গুলো নিয়ে খুব সুন্দর হবে আলোচনা করা হবে। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
পোষ্ট সূচিপত্র
প্রিয় বন্ধুরা তাহলে আর দেরি না করে চলুন এবার আমরা জেনে আসি উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া এবং উদ্যোক্তা হওয়ার আগে কি কি ভাববেন সে বিষয়গুলো নিয়ে। পুরো পোস্ট টি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া এবং উদ্যোক্তা হওয়ার আগে কি কি ভাববেন সে বিষয়গুলো।
ভূমিকাঃ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া
বন্ধুরা আপনারা কি উদ্যোক্তা হতে চান কিন্তু জানেন না যে কিভাবে উদ্যোক্ত হওয়া যায়। একজন উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে নিজে থেকে আপনার নিজের পছন্দ অনুযায়ী একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা শুরু করে সেখানে কর্মযোগ শুরু করতে হবে। তার পাশাপাশি আরো অন্যান্য যে সকল বেকার যুবকরা রয়েছে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবেন। তবে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না যে সে আসলে অন্যের প্রতিষ্ঠানে জব করবে নাকি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান খুলবে। অনেকের মনেই উদ্যোক্তা হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে সে কারণে উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় জেনে নেওয়াটা আপনাদের জন্য খুবই একটি ভালো উদ্যোগ।
তবে মনে রাখতে হবে যে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিন্তু এক একটি উদ্যোক্তা। আর তাই আপনিও যদি উদ্যোক্তা হতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু উদ্যোক্ত হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদেরকে জানাবো যে কিভাবে উদ্যোক্ত হওয়া যায়। আজকে আর্টিকেলের মধ্যে আপনার জানতে পারবেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য কি? উদ্যোক্তা হওয়ার ২০ টি সহজ কার্যকরী উপায়, উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া, কিভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া যায়, এবং উদ্যোক্তা হওয়ার আগে কি কি ভাববেন।
কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়
উদ্যোক্তা হলো ঐ সকল ব্যক্তি যারা নিজ থেকে একটি কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং তার পেছনে প্রচেষ্টা চালায়। আপনি যে প্রোডাক্ট বা পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান সে পণ্যের জন্য আপনাকে আগে একটি পণ্য তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর সেটি আপনাকে প্রক্রিয়াকরণ করে সেই পণ্যটি পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতার মাঝে পৌঁছে দিতে হবে তখনই আপনি হবেন একজন সফল উদ্যোক্তা। কেননা সেটি যখন তারা বিক্রয় করবে এবং তা থেকে আপনি যে প্রফিটটি পাবেন সেটা হবে আপনার লভ্যাংশ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার মূল শক্তি। আমরা আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় বা উদ্যোক্ত হওয়ার আইডিয়া নিয়ে বেশ কিছু টিপস ও ট্রিকস আপনাদের মধ্যে শেয়ার করব।
একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই একজন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করতে হবে কোন পণ্যটির চাহিদা মার্কেটে বেশি সেই পণ্যটি সম্পর্কে ভালো হবে বিস্তারিত জানতে হবে এবং আপনার নির্ধারিত পণ্যটি কাঁচামাল কোথায় পাবেন এবং পণ্য তৈরি করার জন্য কোন কোন কাঁচামাল গুলো সংরক্ষণ করার প্রয়োজন এগুলো নিয়ে আপনাদেরকে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে প্রাথমিক ধাপ তাই অধিক জ্ঞান অর্জন।
একজন ব্যক্তি যখন নিজে থেকে উদ্যোক্ত হতে চায় তখন অবশ্যই তাকে সফল একজন উদ্যোক্তার কাছ থেকে ভালো হবে পরামর্শ বা ধারণা নিতে হয় তবে মানুষের প্রাকৃতিকভাবেই জ্ঞান থাকতে হবে আর নিজের সেই জ্ঞান এবং একজন সফল উদ্যোক্তার কাছ থেকে নিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ও বই-পুস্তক পড়ার ফলে সঠিক জ্ঞান বুদ্ধি বিবেককে কাজে লাগিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে জ্ঞান বুদ্ধি বিবেকের পাশাপাশি তাকে ধৈর্য্য ও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য কি
বন্ধুরা একজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার মধ্যে অনেকগুলো পার্থক্য রয়েছে আর আমরা আজকের এই আর্টিকেল এর মধ্যে একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে সেগুলো জানব।
একজন ব্যবসায়ী সাধারণত আরো দশ জন ব্যক্তিকে তার ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক আইডিয়া বাছাই করে নিজের পছন্দমত কাজ করে থাকে। যেমন একজন মোদি ব্যবসায়ী গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি কসমেটিকসের দোকান কাঁচামাল সরবরাহ জুতার দোকান ইত্যাদি একজন ব্যবসায়ী অন্যের বিভিন্ন রকম ব্যবসা দেখে নিজের পছন্দমত যে কোন একটি পেশাকে বেছে নিয়ে কর্ম যোগ শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন তাছাড়া নিজে থেকে তিনি কোন কিছু ভাবা বা আবিষ্কার করার প্রয়োজন হবে না।
অন্যদিকে বলা যায় একজন উদ্যোক্তা সম্পূর্ণই ভিন্নরূপে কাজ করে থাকে একজন উদ্যোক্তা তিনি নিজের মতো করে একটি উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন সেটি যে কোন উদ্যোগই হতে পারে। যে কাজ আপনার চারপাশের কেউ কখনো করেনি অথবা কেউ কখনো ভেবে দেখেনি যে ব্যাপারটি কেমন হবে সেই কাজটি যখন কোন একটি ব্যাক্তি শুরু করে থাকেন তিনি হলেন সেই কাজটির উদ্যোক্তা।
একজন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী এর মধ্যে বিশেষ একটি পার্থক্য হল ধরুন আপনি একটি নতুন ফোন তৈরি করেছেন তাহলে আপনি এই ফোনটির বিষয় নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন তাহলে আপনি একটি উদ্যোক্তা। আর যিনি এই ফোনটি ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করছেন তিনি হলেন ব্যবসায়ী তাহলে বন্ধুরা আপনার ভালোভাবে বুঝেছেন একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য কি।
উদ্যোক্ত হওয়ার আইডিয়া
উন্নত হওয়ার আইডিয়া সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন আমরা অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চাই কিন্তু সঠিক গাইডলাইন কিংবা আইডিয়ার অভাবে হতে পারি না। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা প্রতিকূলতায় জর্জরিত হয়ে আরো উদ্যোক্তা হওয়া হয়ে ওঠেন আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে সঠিক আইডির অভাবে উদ্যোক্ত হওয়া সম্ভব নয় এখন আপনাদের উদ্যোক্ত হওয়ার আইডিয়া সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলে আসি। আপনি সকল ব্যবসায়ী উদ্যোক্ত হতে পারবেন।
এতে কিন্তু আপনার কোন সমস্যা নেই প্রথমে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে হলে এবং সেটিকে আস্তে আস্তে ডেভলপ করতে হলে একপর্যায়ে যদি ভালো একটা পজিশনে দাঁড় করাতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি উদ্যোক্ত হতে পারবেন এটি হল উদ্যোক্ত হওয়ার আইডিয়া শুধু এই কাজটিই নয় বরং অন্য যেকোনো একটি কাজ দিয়ে প্রথমে শুরু করুন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার কাজটিকে আগে ভালোভাবে ডেভেলপমেন্ট তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্ত হওয়ার আরেকটি আইডিয়া হতে পারে মাছ চাষ করা একটি পুকুরে মাছ চাষ করে যদি দেখেন সেখান থেকে ভালো পরিমাণ আপনার ইনকাম হচ্ছে তাহলে পরবর্তীতে আপনি সেখান থেকে উদ্যোক্তা হয়ে অন্য কারো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন।
উদ্যোক্ত হওয়ার ২০ টি কার্যকরী সহজ উপায়-উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া-উদ্যোক্ত হওয়ার আগে কি কি ভাববেন
- অভিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের থেকে তথ্য নিনঃ কিছু শুরু করার পূর্বে আপনাকে একজন অভিজ্ঞ উদ্যোক্তার কাছ থেকে জ্ঞান নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। কিভাবে তারা ঝুঁকি নিয়েছেন এবং কিভাবে তারা সে সমস্ত ঝুঁকি গুলো মোকাবেলা করেছেন সে সমস্ত গল্পগুলো তারা মনের মাঝে গেথে ফেলুন যেমন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকার মার্ক এর মত বিশ্বের সফল ব্যক্তিরা বলে থাকেন যে নিজের সাফল্যের জন্য পরামর্শদাতাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া অভিজ্ঞতা গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেন তারা। দাঁড়া সেসঙ্গে কিসের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি বন্ধ থাকতে হবে এবং ক্ষতিকারক বিষয়গুলো তারা আমাদের চিহ্নিত করে দেন।
- বেশি বেশি পড়ুনঃ একজন সফল উদ্যোক্তার পরামর্শের পাশাপাশি আপনি প্রকাশিত বই এবং নিবন্ধগুলি থেকে জ্ঞানার্জন করতে পারেন। যে সমস্ত লোকেরা তাদের অভিজ্ঞতা গুলো একটি বই লিপি করে রাখে এবং সেগুলো নিয়ে তাদের ভুল এবং সাফল্যগুলো থেকে আপনার কিছু শিখতে পারেন সে বিষয়ে বাস্তব গল্পগুলো দ্বারা নিজের উদ্যোগে অপরকে প্রয়োগ করে থাকে।
- উদ্যোক্ত হওয়ার যে সকল ইভেন্টগুলো রয়েছে সেগুলোতে যোগ দিনঃ যে অবস্থায় আছেন তার থেকে আপনি যদি ভাল হতে চান তাহলে উদ্যোক্ত হয় নানা ধরনের কর্মশালের রয়েছে যেগুলোতে আপনি যোগ দিতে পারেন যেমন ট্রেড শো সম্মেলন ওই মিনার এর মত বিভিন্ন ইভেন্টগুলোতে আপনি উদ্যোক্তা মনকে স্থির করতে পারেন। এ জাতি ইভেন্টগুলো নেটওয়ার্কিং এর জন্য দুর্দান্ত ও সুযোগ এবং শিল্প জুড়ে সংযোগ থাকার সাফল্যের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করে তুলবে।
- নতুন চ্যালেঞ্জ অনুসন্ধান করুনঃ একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হলো সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা থাকা আপনাকে অতি দ্রুত চিন্তা করতে হবে বিভিন্ন কোন থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে এবং আপনার সৃজনশীল সমাধান করতে হবে যা এর আগে অন্য কেউ করেনি এ ধরনের দক্ষতা আপনার মানসিক বিকাশের জন্য চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সন্ধান করতে থাকে সমালোচনা মূলক চিন্তাভাবনার জন্য আপনার মস্তিষ্ককে বা ব্রেনকে ঘাটাতে হবে এবং আপনাকে প্রতিক্রিয়া সমালোচনা গ্রহণ করুন। অন্য চিন্তা ভাবনা এবং আপনার ধারণা ঠিকই একমত কিনা সেগুলো শুনতে হবে।
- প্রতিদিন আপনার লক্ষ্য স্থির করুনঃ উদ্যোক্ত হলে ভালো হতো একবার এমন ভেবে যদি বসে থাকলাম তাহলে কিন্তু এটি কোন সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। প্রতিদিন নিজের লক্ষ্যটি স্থির করতে হবে এবং তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে কাজের ফাঁকে হোক গল্পের ছলে হোক আপনার কাজের লক্ষটি নিয়ে ভাবতে হবে এবং আলোচনা করতে হবে আপনি উদ্যোক্ত হতে চান কারণ আপনার একটি লক্ষ্য রয়েছে সেই লক্ষণই আপনাকে ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে এবং নিজে থেকে আপনাকে বেশি অনুপ্রেরণা যোগাতে হবে।
- ব্যবসার প্রত্যেকটি অংশ বোঝার চেষ্টা করতে হবেঃ সফল উদ্যোক্তারা একটা কথা খুন বেশি বলে থাকেন যে জিনিসটি হল ব্যবসায় নামছেন পুরোপুরি সেটি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। এটি কিভাবে তৈরি হয় কি কি কাজে লাগে অন্যকে দিয়ে তৈরি করে বা অন্যের জ্ঞান নিয়ে সফলতায় আসার সম্ভাবনা কিন্তু খুবই কম থাকে। তাই একেক উদ্যোক্তার জন্য অনেক কাজ রয়েছে তার মানে এই নয় যখন আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি পায় কর্মচারী থাকে তখন এই দায়িত্ব কতটা কঠিন ছিল আপনি তা ভুলে যাবেন সেটা কিন্তু নয়। প্রত্যেকের কাজের জন্য আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে। আপনার মনের মধ্যে ঈর্ষাটিকে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনার ব্যবসা প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনার কর্মীদের সঙ্গে তাদের কাজের ধরন কেমন তা দেখার জন্য আপনাকে তাদের কাজে সহায়তা করতে হবে এবং একটি বিষয়ে আপনাকে ধরে রাখতে হবে যেটি হল একটি দল হিসেবে সহযোগিতা এবং বন্ধনের সুযোগ তৈরি করবে তরুণ উদ্যোক্তারা।
- নিজেকে রিফ্রেশ করুন বা সুশৃংখল রাখুনঃ নিজেকে যদি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান তাহলে আপনাকে সুশৃংখল হওয়াটা খুবই জরুরী। কেননা আপনাকে সুশৃংখল থাকতে হবে আপনার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত উভয় জায়গায় হতে সময় নষ্টের বিষয়ে আপনাকে সচেতন হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ব্যয় করা সময় সীমাবদ্ধ করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে আপনাকে ঘুমাতে হবে ভিটামিনযুক্ত শাকসবজি খেতে হবে কাজের অনুশীলন এবং আপনার কিছু জ্ঞান অর্জন করার জন্য পড়ার সময় নির্ধারণ করতে হবে। সমস্ত কিছুর মূল বিষয় হলো আপনাকে মন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।
- কম কথা বলে বেশি শ্রবণ করতে হবেঃ আসলে এ বিষয়টি জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই আপনাকে লালন করতে হবে নিজে কথা বেশি বলার চেয়ে শ্রবণ করতে হবে বেশি মনোযোগ দিয়ে সবার কথা শোনা এরপর আপনার নিজের বিচার বুদ্ধি ক্ষমতা বিবেক দিয়ে সেটি বিবেচনা করতে হবে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশেষত যখন কঠিন বা অস্বস্তিকর কোন আলোচনা হয় তখন আপনার উপস্থিতি বিষয়ে এবং অন্য ব্যক্তি কি বলছেন তা মনোযোগ দিয়ে শোনা ভালো।
- অন্যকে কাজে সাহায্য করাঃ আমরা যেমন অন্যের কাছ থেকে কিছু শিখি তেমনি অন্যকে সাহায্য করার মতো মনোভাব একজন উদ্যোক্তার থাকতে হবে অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তার একটি শিক্ষা বাড়ে এটি মনে রাখতে হবে।
- লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট আগ্রহী হতে হবেঃ সাফল্য অর্জনের জন্য আপনাকে তীব্র পরিমাণে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ না করে তবে সেই কাজ যথাসময়ে সঠিক হওয়া সম্পন্ন হয় না। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে যদি আপনার মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ না করে তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে যা আপনার কাস্টমার বা স্টারফেয়ার অবস্থা কি হবে। আপনার উৎসাহ দিব না দেখে আপনার টিমের সদস্যরা অধিক কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে। আপনার উৎসাহ উদ্দীপনা যখন কাজ করবে তখন আপনার টিম কাস্টমারদের বেশি সেবা প্রদান করবে এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কাস্টোমারদের বেশি আগ্রহ বাড়বে। যদি কাস্টমার আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি খুশি হয় তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতার দিক দিয়ে আরো একধাপ আপনি এগিয়ে গেলেন।
- কঠোর পরিশ্রম করুনঃ একটা জিনিস আপনাকে ভালোভাবে মাথায় রাখতে হবে যে পরিশ্রম হলো সৌভাগ্যের প্রসূতি আপনি যদি পরিশ্রম না করেন তাহলে কিন্তু সফলতার চাবিকাঠি আপনার পাওয়া হবে না সফলতা কিন্তু রাতারাতি অর্জিত হয় না কঠোর পরিশ্রমের ফলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। ভাগ্যের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে সাফল্যের ছোঁয়া পাওয়া বড়ই মুশকিল। কঠোর পরিশ্রম দ্বারা আপনার ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারলেই ধরা দেবে সাফল্য একদিন সফল উদ্যোক্তা সকল কাজে নিজের সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে চেষ্টা করে যখন আপনি কঠোর পরিশ্রম করবেন তখন নিশ্চয়ই সাফল্য আপনার কাছে ধরা দেবেই।
- উপভোগ করতে শিখুনঃ আপনার কোন কাজের প্রতি লক্ষ্য স্থির করে লক্ষ্যের পেছনে ছুটে যেতে আপনাকে সবাই বলবে কিন্তু সফল মানুষ আপনার সেই ছুটে যাওয়ার পথকে উপভোগ করতে শেখাবে তারা আপনাকে শেখাবে যে চূড়ান্ত সাফল্যের পথে প্রতিটি অর্জনকে উপভোগ করতে বা উদযাপন করতে। জীবনের অধিকাংশ মূল্যবান সময় যদি আপনার লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে শেষ হয়ে যায় তবে সেই সময়টাকে যদি উপভোগ করতে না পারেন তবে কি লাভ সেই লাভ করার জন্য করে লক্ষ্য অর্জনের পোস্টটা যদি উপভোগ্য হয় তাহলে আপনি আপনার টিম এবং কাজের প্রতি বেশি উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
- নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুনঃ বাস্তব জীবনের অনেক কিছুই কাগজে-কলমের যুক্তিতে মিলে না কাগজ-কলমে হিসাব কিন্তু অনেক সময় আমাদের ভুল দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে এ হিসাবগুলো যদি আমাদের পরিকল্পনার সাথে মিলে যায় তাহলে আমাদের মনে হয় এটাই বুঝি একমাত্র সমাধান কিন্তু আসলে বিষয়টা কিন্তু তা নয়। সাফল্য আরও অনেক পথ রয়েছে সেই পথগুলো খুঁজে পেতে হলে আপনার নিজের বুদ্ধি বিবেক দ্বারা কাজ শুরু করতে হবে আপনার নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন যদি আপনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার বিবেক কখনো আপনাকে ভুল দিকনির্দেশনা দিবে না।
- টিমের উপর নির্ভরশীল হতে শিখুনঃ একজন মানুষের পক্ষে সকল বিষয়ে পারদর্শ হওয়া কিন্তু সম্ভব নয় যে যে কাজটি পারে না তার সে কাজটি করে দেয়ার জন্য সেই বিষয়ে দক্ষ অন্য একজন মানুষের সাহায্য প্রয়োজন হয়। উদ্যোক্তর সাধারণত এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয় যে তারা বিশ্বাসই করতে চায় না যে কোন কাজ তাদের দ্বারা সম্ভব না এই ভুল ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে তো উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে হলে দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসতে হবে এ সকল ভুল ধারণা থেকে। প্রথমে যে বিষয়টি কাজ করতে হবে তা হচ্ছে নিজের দক্ষতা এবং সামর্থ্য আপনাকে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে হবে তারপর যে সকল বিষয়ে আপনার অন্যান্য দক্ষ মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হবে সে বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং দক্ষ ব্যক্তির দ্বারা সাহায্য নিয়ে এসে পুরো সমাধান করতে হবে।
- সঠিক পরিকল্পনা করাঃ যে কোন ব্যবসায় সফল হতে হলে অবশ্যই সেই কাজ নিয়ে ব্যবসা করতে চান এবং যে কাজের জন্য উদ্যোগ নিতে চান সে বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন আর তাই আপনি যে বিষয়ের উপর উদ্যোগ নিতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি কিভাবে শুরু করবেন এক্ষেত্রে উদ্যোগটি স্বল্প সময়ের জন্য হবে নাকি দীর্ঘ সময়ের জন্য হবে কি কি কৌশল অবলম্বন করা আপনার জন্য উচিত সমস্ত বিষয়ের জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা বা গাইডলাইন থাকা প্রয়োজন।
- সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতাঃ উদ্যোক্তা হতে হলে একজন মানুষকে অবশ্যই সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে কারণ একজন অসুস্থ ব্যক্তি অথবা মস্তিষ্কের অধিকারী ব্যক্তি কখনোই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারে না তাই আপনি যে কাজের জন্য উদ্যোগ নিতে চাচ্ছেন সে কাজের উপর অবশ্যই আপনাকে আপনার সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা অপরিহার্য আর তাই এই বিষয়ের উপর উদ্যোক্তা হতে চাইলে সেই বিষয়টির উপর যথার্থ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
- ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা থাকাঃ একজন উদ্যোক্তা যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করে সেক্ষেত্রে তাতে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি আসবে এটি স্বাভাবিক বিষয় তবে এটি কে সহজ ভাবে নেয়া সক্ষমতা আপনার থাকতে হবে আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ঝুঁকির মোকাবেলা হতে হবে ঝুঁকি নেওয়ার অর্থ এই নয় যে না বুঝে কোন কিছু করে বসা অবশ্যই আপনার চিন্তা ভাবনাকে খুবই চতুর রাখতে হবে।
- কৌশলি ও চতুর হওয়াঃ উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যে আরেকটি উপায় হল কৌশল ও চতুর হওয়া আপনি যদি সফল হতে চান অবশ্যই আপনাকে কৌশলী হতে হবে আপনাকে সফলতা অর্জন করতে হলে কৌশলী হতে হবে কেননা বর্তমান বিশ্বের প্রতিনিয়তায় প্রতিযোগী বাড়ছে আর তাই আপনি যে বিষয়ের উপর উদ্যোগ নিতে চান সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে কৌশলতা অবলম্বন করতে হবে আপনি যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে চান সেটি টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
- গ্রাহকদের সাথে ভালো আচরণঃ একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই আচরণের প্রতি শালীনতা রাখতে হবে কারণ একজন উদ্যোক্তা যখন গ্রাহকদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন তখনই কেবল তিনি গ্রাহক পাবেন গ্রাহকের পছন্দ-অপছন্দ চাহিদা অনুযায়ী কাজ করলে একজন উদ্যোক্তা খুব সহজে সফল হতে পারেন গ্রাহকের মনে তাদের জন্য একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে হবে।
- আয় ব্যয় হিসাবঃ উদ্যোক্তা ও হওয়ার উপায় হিসেবে আয়-ব্যয়ের হিসাব কিন্তু আপনাকে ঠিক রাখতে হবে একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই তার ব্যবসায় তার কাজের প্রত্যেক বিষয়ের আয় ব্যয়ের হিসাব খুঁটিনাটি সেগুলো ভালোভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে একজন ব্যক্তি যখন আয়-ব্যয়ের হিসাব সঠিকভাবে নিবেন সে ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু মনে হলে সেটা বন্ধ করে রাখতে হবে এতে করে আপনার অপচয় এবং আপনার ব্যবসার ক্ষতির হাত থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন।
- উপযুক্ত ব্যবসা বাছাই করনঃ একজন উদ্যোক্তা যখন নিজে থেকে কোন কিছু উদ্যোগ নেন তখন তাকে বিভিন্ন রকম বিষয় মাথায় রেখে উদ্যোগ নিতে হয়। যেমন তিনি যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেটি গ্রাহকদের কাছে কতটা জরুরী এবং এটার বাজার মূল্য কেমন এ সমস্ত বিষয় নিয়ে তবে সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে সে কাজটি আপনার পছন্দের হবে কিনা নিজের আগ্রহ না থাকলে সে কাজে কখনো সফল হওয়া সম্ভব নয় কারণ আপনি যদি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কর্মসংস্থান দাঁড় করাতে চান সেটির প্রতি আপনাকে ইচ্ছাশক্তি প্রবল রাখতে হবে এবং সেগুলো প্রাধান্য দিতে হবে।
- নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ করাঃ কোন কাজই কিন্তু সহজ নয় আর একজন উদ্যোগ তারা নতুন কোন কাজ শুরু করে তখন সে কাজগুলো কিন্তু তাদের জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় আর তাই অনেক সময় একজন উদ্যোক্তা থেমে যায় বা নিরাশ হয়ে যায় কিন্তু আপনার নিজেকে নিজেই চ্যালেঞ্জ করতে হবে যে আপনি এই কাজটি অনায়াসে করতে পারেন তাহলেই কেবল আপনি সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন।
- ভয়কে জয় করুনঃ উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে ভয়কে জয় করা একজন উদ্যোক্তা যখন নতুন কিছু শুরু করে তখন কিন্তু তার মধ্যে অনেকটা ভয় কাজ করে তাই এর পাশাপাশি আশেপাশে অনেক মানুষ চায়না যে সে নতুন কিছু করুক আর তাই মনের ভেতর থেকে এ সমস্ত ভয়গুলোকেই জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং নতুন কিছু করতে হবে।
- আত্মবিশ্বাসঃ একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হতে হবে যত ধরনের বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন সকল ধরনের বাধা-বিপত্তি দূর করতে হলে অবশ্যই তার নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরী তাই আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে নিজের কাজের প্রতি আপনাকে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।
কিভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া যায়
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে এবং যেগুলো আপনার জন্য পালন করা উচিত আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব তাই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে হলে নিচে না তথ্য বলি ভালোভাবে পড়ুন।
- আপনার আগ্রহ এবং মানসিক ক্ষমতা তৈরি করুনঃ শুরু করার পূর্বে আপনার আগ্রহ এবং আপনার ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন আপনার প্রিয় কর্মযোগ বা কার্যকলাপ কি আপনার কেমন দক্ষতা রয়েছে যদি আপনার ব্যবসা আপনার আবেগ এবং দক্ষতার ক্ষেত্রগুলি সাথে খারাপ খায় তবে এটি আপনার সাফল্যত বয়ে আনবে।
- আপনার ধারণা এবং গবেষণা ও যাচাই-বাছাই পরিকল্পনা নিশ্চিত করুনঃ আপনার পণ্য বা পরিষেবার চাহিদা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ বাজার গবেষণা পরিচালনা করুন এবং আপনার লক্ষ্য দর্শক এবং প্রতিযোগীদের সনাক্ত করুন সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাওয়ার পূর্বে আপনার ধারণা যাচাই করুন এবং বাজার বুঝার জন্য আপনার ব্যবসার ধারণাকে পরিমার্জিত করতে হলে এ সমস্ত পদক্ষেপটি জানানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- একটি কঠিন ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ আপনার লক্ষ্য বাজার প্রতিযোগিতা এবং বিপন্ন বিপণন কৌশল এবং আর্থিক অনুমান গুলির একটি বিশদ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন একটি সচিন্তিত পরিকল্পনা আপনার ব্যবসার জন্য একটি রোড ম্যাপ হিসেবে কাজ করবে প্রয়োজনে আপনি আপনার তহবিলকে সুরক্ষিত করতে পারেন।
- বাস্তবসম্মত লক্ষ নিশ্চিত করুনঃ আপনার ব্যবসার জন্য পরিষ্কার পরিমাপযোগ্য এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ স্থাপন করুন এ লক্ষ্য গুলি আপনার প্রচেষ্টাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে এবং আপনাকে আপনার অগ্রগতি আরো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা গ্রাহক অধিক এবং সম্প্রসারণ পরিকল্পনা যাই হোক না কেন নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা দিক নির্দেশ এবং প্রেরণা প্রদান করে থাকে।
- একটি অনলাইন উপস্থিতি তৈরি করুনঃ ডিজিটাল যুগে একটি অনলাইন উপস্থিতি বা প্রতিষ্ঠান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশাদার ওয়েবসাইট আপনাকে তৈরি করতে হবে যেমন সামাজিক মিডিয়া প্রোফাইলে সেটআপ করতে হবে এবং আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করা অতীব জরুরী একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি আপনার করা অতীব জরুরী। একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।
- মার্কেটিং এর উপর ফোকাস করুনঃ আপনার ব্যবসার প্রচারের জন্য একটি বিবরণ কৌশল তৈরি করুন যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কন্টেন্ট মার্কেটিং ইমেইল ক্যাম্পেইন এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টস সহ অনলাইন এবং অফলাইন উভয় চ্যানেলে ব্যবহার করতে পারেন একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরি করতে হলে আপনার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিক্রয় পরিচালনা বৃদ্ধি করতে হবে।
- বুদ্ধিমানের মত অর্থ পরিচালনা করুনঃ আপনার আর্থিক উপ ঘনিষ্ঠ নজর রাখতে হবে কার্যকর বাজেটিং এবং একাউন্টিং অনুসরণ গুলি বাস্তবায়ন করতে হবে নিয়মিত আপনার আর্থিক বিবৃতি প্রচারণা করতে হবে। আপনার ব্যবসার স্থায়িত্ব এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষেপে বলতে পারি একটি ছোট ব্যবসা চালু করার জন্য উৎসাহ উদ্দীপনা সংগঠিত এবং বাস্তবায়নের মিশ্রণ প্রয়োজন আপনার উদ্দেশ্য গুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতি বন্ধ থাকতে হবে নমনীয় হতে হবে ভালো আচরণ করতে হবে এবং কঠোর অধ্যবসয় এবং দিরসংকল্প থাকলে কেবল আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন।
নারী উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়
নারী উদ্যোক্ত হওয়া কিন্তু সঠিক ও সহজসাধ্য কোনো বিষয় নয় নারীর উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম এবং সাহায্য সহযোগিতার মধ্য দিয়ে পথ পাড়ি দিয়ে চলতে হবে। তাহলে চলুন নারী উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন।
- লক্ষ্য ও দক্ষতা সনাক্তকরণঃ নারী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনার আগ্রহ শক্তি ও দক্ষতা থাকা অপরিহার্য আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে ব্যবসা সফল হতে পারবেন তা নিয়ে আপনার পুরো পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং আপনার সঠিকভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
- নিজেকে আত্মবিশ্বাস করে তুলতে হবেঃ উদ্যোক্ত হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন ততক্ষণ আপনি কোন কিছুই করতে পারবেন না ব্যবসায়ের সফল হওয়ার জন্য আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই আপনাকে আত্মবিশ্বাস হতে হবে। নিজের দক্ষতা আগ্রহ অভিজ্ঞতা ও শক্তির ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসের করে তুলতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে সফল উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারবেন।
- ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবেঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার ব্যবসার সকল বিষয় সম্পর্কে একটি পূর্ব পরিকল্পনা থাকতে হবে আপনার ব্যবসাটি অনলাইন ভিত্তিক হবে নাকি অফলাইন কি ধরনের পণ্য আপনি বেচাকেনা করতে পারবেন সেটি নির্বাচন করতে হবে মূল্য নির্ধারণের কৌশল গ্রাহকদের চাহিদা বোঝা কি ধরনের অফার দেয়া যেতে পারে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনার পরিকল্পনা থাকতে হবে। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার ব্যবসা শুরু করার পূর্বে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা খুবই প্রয়োজনীয়।
- দক্ষতা অর্জন করতে হবেঃ একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন হয় যেমন কৌশল কত পরিকল্পনা নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনা আর্থিক ব্যবস্থাপনা পণ্যের মার্কেটিং করা বা পরিচিতি বাড়ানো সঠিকভাবে গ্রাহক সেবা দেওয়া এফ বিক্রয় করার কৌশলাদি ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত এ সকল ধরনের দক্ষতা সম্পর্কে জেনে দক্ষতা অর্জন করে একজন নারী উদ্যোক্তা হতে পারে।
- মেন্টরশিপ সন্ধান করতে হবেঃ সফলভাবে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে মেন্টরশীপ ও নেটওয়ার্কিং সুযোগের সন্ধান করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নারীর উদ্যোক্তাদের সাথে অথবা অভিজ্ঞ পেশাদারদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে এবং তাদের পরামর্শ দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন পাওয়ার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে অভিজ্ঞ ও সফল মেন্টরদের সাথে সুসম্পর্ক নিশ্চিত করার জন্য এবং আপনার পরিচিতির প্রসারতা ঘটানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ইভেন্ট ও মিটআপের ব্যবস্থা করতে পারেন।
- ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করতে হবেঃ একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করা অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের ছোট ব্যবসার লোন বা অনুদান দিয়ে থাকে তবে আপনার কাছে যদি যথেষ্ট সঞ্চয় থাকে তাহলে আপনার ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই আপনার সঞ্চয়কৃত অর্থ দিয়েই আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
- ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হবেঃ ব্যর্থতা সফলতারই একটি বিশেষ অংশ সফলতা পাওয়ার জন্য জীবনে ব্যর্থ থেকে কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় একজন উদ্যোক্তা জীবনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় কিন্তু ব্যর্থ হয়েই আসে কিন্তু এ ব্যর্থতা গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এই শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে হবে। তাই নারীর উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে যে কোন বিষয়ে ব্যর্থতা এলে নিরাশ হওয়া যাবে না এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফল্যতা অর্জন করতে হবে।
- নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবেঃ একজন সফল মায়ের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যে সকল বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে আপনার জন্য অপরিহার্য এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেগুলো জানলাম এ সকল বিষয়েই আপনার নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারেন নিজের পরিচয় তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং উদ্যোক্তা হতে হলে জীবনে কঠোর পরিশ্রম এবং আপনার সময়ের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে এভাবে বর্তমানে নারীরা দক্ষতা কঠোর পরিশ্রম কাজে লাগে সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তা-সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা বাংলাদেশ অনেক সফল নারী উদ্যোক্তাদের সহায়ক ফেসবুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া ব্যবসার মাধ্যমে অনেক নারী এখন বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তাদের শীর্ষে যার নাম রয়েছেন তিনি হলেন "আফসানা আক্তার" তিনি "গুটিপোকা" নামক তার নিজস্ব facebook পেজ থেকে ক্রাফটিং এর কাজ করে এখন মাসে তিনি অনেক টাকা আয় করেন।
বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তাদের শীর্ষে এমন আরো একজন রয়েছেন যার নাম হল "কানিজ ফারহিন" যিনি একজন পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তা। তিনি পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাগ পার্টস আংটি কানের দুল বিভিন্ন মালা ইত্যাদি তিনি তার নিজস্ব facebook পেজ "ঘূর্ণি বাই পান্থী" পেজ থেকে বিক্রি করেন এবং তিনি তার থেকে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করেন এছাড়া বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা ফেসবুক লাইভ থেকে ইউটিউব ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেকেই আজ নারী উদ্যোক্তা।
নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয়
নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয় এটি আজকে আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় বর্তমান সময়ে চাকরি-বাকরি অবস্থা এতটাই খারাপ যে চাকরির প্রায় বাজারে নেই বলেই চলে তাহলে কি আমাদের জীবন থেমে থাকবে মোটেও না বর্তমান সময়ে এমন কিছু স্মার্ট পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি চাকরি থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন আর সেটি হলো নতুন উদ্যোক্ত হওয়া নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয় এই সম্পর্কে এবার আমাদের আলোচনা করা যায়।
মূলত যারা নতুন উদ্যোক্ত হতে চায় তাদের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা সে অনুযায়ী শ্রম এবং কাজের প্রতি দক্ষতা রাখা অপরিহার্য একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলি নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয় ধরুন আপনি একটি নতুন উদ্যোক্ত হতে যাচ্ছেন কিন্তু কি করবেন বুঝতে পারছেন না কিন্তু আপনার কাছে কিছু টাকা যেমন এক থেকে দেড়শত জমি আছে এদিকে কাজে লেগে আপনি প্রতি মাসে প্রায় লক্ষ টাকা আর করতে পারেন।
কথাটি যদিও হাস্যকর মনে হয় তবুও কিন্তু এটাই বাস্তব। এখন এই এক দেড় শতক জমিতে আপনি চাইলেই সুন্দরভাবে একটি চৌবাচ্চা তৈরি করে সেখানে ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষ করতে পারেন এ কাজটি করার জন্য খুব বেশি টাকার কিন্তু প্রয়োজন হয় না। এবার আপনি সেখানে ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষ করে যখন আস্তে আস্তে স্বাবলম্বন হয়ে উঠবেন তখন অন্য বেকার যুবকরা সেখান থেকে আপনার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবে এভাবে আপনি আস্তে আস্তে নতুন উদ্যোক্তায় পরিণত হতে পারেন আপনার ব্যবসা তো হবেই পাশাপাশি আপনি হয়ে যাবেন একটি নতুন উদ্যোক্তা তখন আপনার ওখানে অনেক বেকার তরুণ তরুণের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এভাবেই মূলত নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়।
উপসংহারঃ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া-উদ্যোক্তা হওয়ার আগে কি কি ভাববেন
ভূমিকাঃ উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া,কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়,ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য কি,উদ্যোক্ত হওয়ার আইডিয়া,উদ্যোক্ত হওয়ার ২০ টি কার্যকরী সহজ উপায়-উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া-উদ্যোক্ত হওয়ার আগে কি কি ভাববেন ,কিভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া যায় ,নারী উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় ,বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তা-সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প,নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয় ,উদ্যোক্তা হওয়ার আইডিয়া-উদ্যোক্তা হওয়ার আগে কি কি ভাববেন বন্ধুরা এতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা উদ্যোক্ত হওয়ার আইডিয়া উদ্যোক্ত হওয়ার আগে কি কি ভাববেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জেনেছেন যদি আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং নতুন কোন আর্টিকেল পাবলিশ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন সাথে থাকুন ধন্যবাদ।২০২
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url