Collagen কোলাজেন কি ? এর ব্যবহার ও সাপ্লিমেন্ট হিসাবে খাওয়া কি ভালো?
আজ আমরা জানবো Collagen কোলাজেন কি ? এর ব্যবহার ও সাপ্লিমেন্ট হিসাবে খাওয়া কি ভালো?কোলাজেন হলো একধরনের প্রোটিন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সংযোগকারী টিস্যুতে পাওয়া যায়। এটি ত্বক, হাড়, পেশী, লিগামেন্ট, কারটিলেজ, টেন্ডনসহ শরীরের প্রায় প্রতিটি অংশে উপস্থিত থাকে। কোলাজেন শরীরের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরের প্রোটিনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গঠন করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা, জয়েন্টের মজবুতি ও হাড়ের গঠনকে সমর্থন করে।
কোলাজেন বিভিন্ন প্রকারের হয়, যেমন টাইপ I, II, III, IV ইত্যাদি, এবং প্রতিটি টাইপ শরীরের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে ত্বক শিথিল হয়, বলিরেখা দেখা দেয় এবং হাড় ও জয়েন্ট দুর্বল হতে শুরু করে।
ভূমিকাঃ
কোলাজেন পেপটাইড প্রাণী কোলাজেনে থাকে প্রোটিনের খুব ছোট টুকরা। কোলাজেন আমাদের ত্বকের একটি প্রধান উপাদান। এটি ত্বককে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এর স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশনে দারুণ ভূমিকা রাখে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীর কম কোলাজেন তৈরি করে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয় এবং বলিরেখা তৈরি হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিশ্র বেরির সাথে মিলিত কোলাজেন পেপটাইডগুলিও ত্বকের স্বাস্থ্যের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং চমত্কার বয়স বিরোধী কার্যকলাপ এর উন্নতি ঘটায়।
আরো পড়ুনঃ
কোলাজেনের ব্যবহারঃ
কলাজেনের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যচর্চায়। নিচে এর কিছু প্রধান ব্যবহার তুলে ধরা হলো:
১. ত্বকের যত্নে:
- বয়সের ছাপ কমাতে: কলাজেন সাপ্লিমেন্ট বা ক্রিম ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং বলিরেখা ও ফাইন লাইনের উপস্থিতি কমাতে সহায়ক।
- ত্বকের মসৃণতা ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে: এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক শুষ্কতা থেকে রক্ষা পায় এবং মসৃণ হয়।
২. চুল ও নখের স্বাস্থ্য রক্ষায়:
- কলাজেন চুল ও নখকে মজবুত করে এবং তাদের ভাঙা বা ক্ষয় রোধ করে। এটি নখ ও চুলের বৃদ্ধি এবং ঘনত্ব উন্নত করতেও সাহায্য করে।
৩. হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে:
- কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- এটি কারটিলেজের গঠন বজায় রেখে আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
৪. পেশী গঠনে:
- কোলাজেন প্রোটিন পেশীর গঠন ও শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি অ্যাথলেট বা বডিবিল্ডারদের জন্য বিশেষ উপকারী কারণ এটি মাংসপেশীর পুনর্গঠন ও উন্নয়নকে সহায়ক করে।
৫. হজমশক্তি উন্নত করতে:
- কোলাজেনে গ্লাইসিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা অন্ত্রের আস্তরণকে শক্তিশালী করে এবং হজমের সমস্যা, যেমন লিকি গাট সিন্ড্রোম, থেকে সুরক্ষা দেয়।
৬. হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায়:
- কোলাজেন রক্তনালীর দেয়াল মজবুত রাখতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
- কোলাজেন প্রোটিন আমাদেরকে দীর্ঘক্ষণ তৃপ্ত রাখে এবং ক্ষুধা কমায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
৮. কসমেটিক সার্জারি ও চিকিৎসায়:
- কোলাজেনকে ত্বকের ভলিউম বা পূর্ণতা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়, যেমন লিপ বা গাল ফিলার হিসেবে।
- পোড়া বা আঘাতের ক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে কোলাজেন ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি টিস্যু পুনর্গঠনে সহায়ক।
সাধারণত কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট, পাউডার, ক্রিম বা ইনজেকশনের মাধ্যমে এই প্রোটিন গ্রহণ করা হয়।
কোলাজেন যেভাবে কাজ করেঃ
কলাজেন একটি প্রোটিন যা ত্বক, হাড়, পেশী এবং অন্যান্য সংযোগকারী টিস্যুতে পাওয়া যায় এবং এটি আমাদের শরীরের গঠন, স্থিতিস্থাপকতা ও মজবুতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। কলাজেন মূলত তিনটি প্রধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে:
১. ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা: কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও মসৃণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বকের বলিরেখা এবং বয়সজনিত ঢিলেঢালা ভাব কমায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের কলাজেন উৎপাদন কমে যায়, ফলে ত্বক শিথিল হয়ে যায় এবং বলিরেখা দেখা দেয়।
২. হাড় ও জয়েন্টের মজবুতি বৃদ্ধি: কোলাজেন আমাদের হাড়ের ঘনত্ব ও শক্তি বজায় রাখতে সহায়ক, যা হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। এটি জয়েন্টগুলিতে কারটিলেজ গঠনে ভূমিকা রাখে, যা জয়েন্টের চলাচল মসৃণ করে এবং আঘাত বা ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
৩. টিস্যু পুনরুজ্জীবন: কলাজেন নতুন কোষের বৃদ্ধি এবং টিস্যুর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এটি ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সহায়ক কারণ এটি ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করতে এবং দাগ দূর করতে ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও, অনেকেই ত্বক ও হাড়ের জন্য বিশেষভাবে কলাজেন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন, কারণ এটি ত্বকের গঠন উন্নত করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
গঠনঃ
প্রতিটি মাছে কোলাজেন পেপটাইড 9 গ্রাম থাকে। ইনুলিন 90% দ্রবণীয় ফাইবার 4 গ্রাম। মাছের কোলাজেন ট্রাই পেপটাইড 1 গ্রাম। আপেল সিডার ভিনেগার 300 মিলিগ্রাম, মিক্স বেরি পাউডার 200 মিলিগ্রাম, গারসিনিয়া এক্সট্র্যাক্ট 100 মিলিগ্রাম, সোডিয়াম অ্যাসকরবেট (ভিটামিন সি) 60 মিলিগ্রাম, ডি-আলফা টোকোফেরল (ভিটামিন ই) 20 মিলিগ্রাম।
আমরা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং গারসিনিয়া এক্সট্র্যাক্ট ব্যবহার করেছি যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের ওজন বেশি বা স্থূল তাদের ত্বকের বার্ধক্যজনিত বলি এবং ভুগছে। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং গারসিনিয়া এক্সট্র্যাক্টের সাথে মিলিত কোলাজেন পেপটাইড ত্বকের উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-এজিং কার্যকলাপ দেখায়।
কোলাজেন পেপটাইড-ঃ
এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে
শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে
UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে
চুল, নখ এবং চোখকে পুষ্ট করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে
এটি রেচক প্রভাবও দেখায় যা পাচনতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে। কোলাজেন পেপটাইড হল সুন্দর ও তারুণ্যময় ত্বকের রহস্য। এর দ্রুত শোষণের কারণে, এটি কার্যকর কোলাজেন টিস্যু এবং ত্বকে ইলাস্টিন উত্পাদন প্রক্রিয়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে
কিভাবে গ্রহণ করবেনঃ
১০৫-২০০ মিলি জলে একটি স্যাসেট কোলাজেন দ্রবীভূত করুন, সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত না হওয়া পর্যন্ত নাড়ুন।এটি সিরিয়াল, দুধ বা অন্য কোন পানীয় আইটেমের সাথেও নেওয়া যেতে পারে। কমপক্ষে০৩ মাস ধরে প্রতিদিন ১টি প্যাক পান করুন।
ক্ষতিকর দিকঃ
প্রস্তাবিত ডোজ ভাল তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
স্টোরেজঃ
২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে একটি শীতল এবং শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে নিরাপদে রাখুন। ওষুধটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।যেভাবে সরবরাহ করা হয় প্রতিটি বাক্সে স্কয়ার কোলাজেনের ১০টি স্যাচেট থাকে।
পোস্ট ট্যাগ: কোলাজেন, কোলাজেন ট্যাবলেট, কোলাজেন পাউডার, কোলাজেন কি, কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট, কোলাজেন বাংলাদেশ, কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার, কোলাজেনের কাজ কি, কোলাজেন ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত, কোলাজেনের উপকারিতা, কোলাজেন ট্যাবলেট বাংলাদেশ, মেরিন কোলাজেন, ফ্রোজেন কোলাজেন খাওয়ার নিয়ম, ত্বকের যত্নে কোলাজেন, কোলাজেন কফি, বয়স কমাতে কোলাজেন, কোলাজেন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, কোলাজেন, কোলাজেন কফি খাওয়ার নিয়ম, কোলাজেন কি ত্বক ফর্সা করে, কোলাজেন কি ত্বক ফর্সা করে? ফর্সা ত্বকের জন্য কোলাজেন
শেষকথা
আশা করি কোলাজেন কি, কোলাজেন আমাদের শরীরে কিভাবে কাজ করে, কোলাজেন এর গঠন, কোলাজেন কিভাবে গ্রহন করবো, কোলাজেন পেপটাইড কি এবং এর ক্ষতিকর দিক কি তা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url