ভিটামিন- ই -ক্যাপ(E Cap) এর কাজ কি?
বন্ধুরা আজ আমরা জানবো ভিটামিন- ই -ক্যাপ বা E Cap এর কাজ কি অর্থাৎ E Cap কি কাজ করে তা নিয়ে আলোচনা করবো, আমরা জানি ত্বকের এবং চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের জুড়ি নেই।ত্বকের সৌন্দর্যে বৃদ্ধি কিংবা চুল পড়া রোধে ই ক্যাপ বেশ ভালো কাজ দেয়। আসলে এর ভালো দিকের শেষ নেই। তারপরও কখনও কখনও ব্যবহারের ভুলের কারণে কিছুটা খারাপ প্রভাব পড়ে থাকে। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবো। আসুন জেনে নিই সেগুলো-
ভিটামিন ই এর অভাবজনিত রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে নির্দেশিতঃ
ভিটামিন -ই ক্যাপ (ডি-আলফা টোকোফেরল) এর ব্যবহার বিবিধ শারীরিক অবস্থা যেমন- আলজাইমার্স ডিজিজ, রিউমাটয়েড আর্থাইটিস পেইন, স্নায়ুর অবক্ষয় (কেমোথেরাপী এর কারণে), পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, ক্যারাটেক্টমী, ঋতুস্রাব পূর্ববর্তী উপসর্গসমূহ, বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব, হৃদরোগ (নাইট্রেট এর কার্যকারিতা ত্বরান্বিত করার জন্য) ইত্যাদি ক্ষেত্রেও প্রতিকার, চিকিৎসা এবং উন্নীত সাধনে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে সুপারিশকৃত।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারগুলো জানলে অবাক হবে
মাত্রা ও সেবনবিধিঃ
❖বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনঃ দৈনিক ভিটামিন ই ৪০০-৬০০ আই ইউ (২-৩টি নেচার-ই ২০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল)।
❖হৃদরোগ নাইট্রেট এর কার্যকারিতা ত্বরান্বিত করার জন্যঃ ভিটামিন ই ২০০ আই ইউ (১টি নেচার-ই ২০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল) দিনে ৩ বার।
❖ডিমেনশিয়া/আলজাইমার্স ডিজিজঃ ভিটামিন ই ৮০০-২০০০ আই ইউ (২-৫টি নেচার-ই ৪০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল) দিনে ১-২ বার।
❖রিউমাটয়েড আর্থাইটিস পেইনঃ দৈনিক ভিটামিন ই ৬০০ আই ইউ (৩টি নেচার-ই ২০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল)।
❖পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসঃ দৈনিক ভিটামিন ই ২০০-৬০০ আই ইউ (১-৩টি নেচার-ই ২০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল)।
❖ঋতুস্রাবের আগে উপসর্গসমূহঃ দৈনিক ভিটামিন ই ৪০০ আই ইউ (২টি নেচার-ই ২০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল)।
বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব : দৈনিক ভিটামিন ই ২০০ আই ইউ (১টি নেচার-ই ২০০ সফ্টজেল ক্যাপসুল)।
ভিটামিন ই এর উপকারিতাঃ
❖ নখের সঠিক যত্ন নেয়া খুব জরুরি। তা না হলে নখের ক্ষতি হতে পারে এমনকি ভেঙ্গে যেতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আদর্শ ভূমিকা পালন করে। ক্যাপসুলের ভেতরের তেল বা তরল পদার্থটি নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে লাগাতে হবে। রাতে ব্যবহার করলে বেশি ভালো। এতে সারারাত নখ ‘ময়েশ্চার’ থাকবে।
❖ ভিটামিন ই ক্যাপ বার্ধক্যের প্রভাব কমায় এবং শরীর তরতাজা রাখে।
❖ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, টান পড়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও এটি অনেক উপকারী।ই ক্যাপ সানবার্ন থেকেও রক্ষা করে। সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়ার আগে ই ক্যাপ আপনাকে রোদে পোড়া থেকে বাঁচাবে।
❖. হাড়ের সমস্যা রোধ করে। এমনকী বন্ধ্যত্বের সমস্যাও রোধ করে।
❖ ভিটামিন ই ক্যাপসুল রাতের ক্রিমেরও কাজ করে। এখন একটু শীত শীত বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। এই সময়ে ই ক্যাপ সারা রাত মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ত্বক ময়েশ্চার হবে।
❖ই ক্যাপ এর ভেতরের তেলটি সিরাম হিসেবে কাজ করে।
❖ভিটামিন ই ক্যাপ চুল পড়া দূর করে। নতুন চুল গজাতেও এর জুড়ি নেই। বাড়িতে আপনি যে তেল ব্যবহার করছেন তার সঙ্গে মিশিয়ে নিলেও এটি ভালো কাজ দেই।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
ই ক্যাপ এর অপকারিতাঃ
ই ক্যাপসুলের ভালো গুণের ভীড়ে খারাপ গুণ পাওয়া মুশকিল। তবুও এর ব্যবহার ভুল হলে খারাপ প্রভাবও বয়ে আসতে পারে।
❖ ভিটামিন ই ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও মনে রাখা জরুরি, সরাসরি ত্বকে লাগালে কারও কারও ক্ষতি হতে পারে। যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল ভিটামিন ই-র সরাসরি ব্যবহার, তাদের ত্বকে প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
❖অত্যাধিক পরিমাণে সেবন করলে আমাশয় সহ এলার্জি জনিত রিয়্যাকশন দেখা দিতে পারে।
❖ বেশি সেবন করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কথাও শোনা যায়।
❖ত্বক ভাল রাখতে সরাসরি ভিটামিন ই ব্যবহার না করে, বরং দই, মধু, লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাগছোপ কমাতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে মুখে লাগান।
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url