ন্যাচারালস শিমূল মূল চূর্ণে গুনাগুন ও উপকারিতা

আসুন ন্যাচারালস শিমূল মূল চূর্ণের গুনাগুন ও উপকারিতা কি কি তা জেনে নেই। আমরা কমবেশি সবাই শিমুল গাছ চিনি। আজকে আমরা এই আর্টিকেল শিমুল গাছের মূলের বিভিন্ন গুনাগুন এবং কি কি রোগে ব্যবহার হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক শিমুল মূলের উপকারিতা অপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে-

ভূমিকাঃ

বহুকাল ধরে বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ তৈরিতে শিমুল গাছের মূল,বাকল,কষ,ফুল ও বীজ ব্যবহৃত হচ্ছে। গবেষকরা প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা হিসেব শিমুল মূলকে অভিহিত করেছেন। শিমুল একটি অতুলনীয় ভেষজ যৌন সমস্যার সমাধানে। বাংলার জিনসেং হিসেবেও  অনেকে আখ্যায়িত করেছেন শিমুল মূলকে।

আরো পড়ুনঃ যেসব খাবার ভেতর থেকে শরীর গরম করবে জেনে নিন

শিমুল মূলের পুষ্টিগুণঃ

প্রোটিন: ১.২%, স্টার্চ: ৭১.২%, চিনি: ৮.২%, ট্যানিন: ০.৯%, চর্বি: ০.৯%, খনিজ পদার্থ: ২.১%, ক্যালসিয়াম: ৯৩ মিলিগ্রাম, সেলুলোজ: ২%, আর্দ্রতা: ৭.৫%

শিমুল মূল কাঁচা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়ঃ 

অনেক পুরুষ রয়েছেন যারা শুক্রাণু সমস্যায় ভুগছেন। যার ফলে তারা বাবা হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বাবা হতে পারছেন না। তাদের জন্য শিমুলের কাঁচামুল অনেক  উপকারে আসতে পারে। শিমুলের মূল নিয়মিত সেবনে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা তাদের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

আবার যে সব পুরুষগণ স্ত্রীর সহবাসে খুব কম সময় পেয়ে থাকেন। তাদের জন্য উপকারে আসতে পারে শিমুল মূল। স্ত্রীর যৌনতা পূরণ না করতে পারলে স্ত্রীর মনে সব সময় কষ্ট থেকে যায়। এবং জীবনে নেমে আসে হতাশা। এর প্রধান কারণ পুরুষের বীর্য পাতলা। 

যদি পুরুষের বীর্য পাতলা হয়, তাহলে সহবাসে দীর্ঘ সময় থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে শিমুল গাছের মূল। নিয়মিত শিমুল মূল, অশ্বগন্ধা এবং তেতুল বীজের গুঁড়া একসঙ্গে সেবন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ হজমশক্তি বাড়ানোর সহজ উপায়

বিভিন্ন চিকিৎসায় শিমুলের ব্যবহারঃ

ফোড়া সারাতে

ফোড়া হলে শিমুল গাছের ছাল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার সেই ছাল গুলো ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। বেটে নেওয়ার পর ফোঁড়ার উপর প্রলেপ দিলে বেশ তাড়াতাড়ি আপনার ফোড়াটি সেরে যাবে।

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে

শুক্রাণু বৃদ্ধিতে শিমুল গাছের মূল বেটে ৮ থেকে ১০ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন দুবেলা সেবন করলে এই সমস্যা দূর হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ মাছ-মাংসের বিকল্প প্রোটিন পাওয়া যাবে যেই খাবার গুলোতে

প্রদর

শিমুলের কচি মূল গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে। নামাবার সময় তাতে সামান্য সম্ভব লবণ মিশিয়ে দিন। এবার দের গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দুবেলা খাবেন। এটি খাওয়াতে আপনার প্রদরে খুব উপকার হয়।

দ্রুত ঘা সারাতে সাহায্য করে

শিমুল তুলা নিয়ে তাতে শিমুল গাছের ছাল অথ্যাৎ মোচরস দিয়ে ভিজিয়ে পোড়া ঘায়ে দিন, ঘা সেরে যাবে।

ডায়রিয়া ও আমাশয় নিয়ন্ত্রণে

রক্ত আমাশয় এর ক্ষেত্রে শিমুলের ছাল অনেক উপকারী। শিমুলের ছাল চূর্ণ করে এক থেকে দুই গ্রাম মাত্রায় নিয়ে ছাগল দুধের সাথে মিশিয়ে দুবেলা খাওয়ালে অবশ্যই আপনি উপকার পাবেন। এতে করে আপনার রক্ত আমার সয় দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি অনেক আরাম পাবেন।

আরো পড়ুনঃ সহবাস কখন করতে হয়-কতদিন পর পর সহবাস করা ভালো

শ্বেত প্রদাহ ও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব

অনেক সময় মহিলাদের অতিরিক্ত রক্ত স্রাব হয়। মহিলাদের রক্তস্রাব সমস্যা সমাধানে কাচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যায়। মাত্র কয়েকটি কাঁচা শিমুল মূল খেলে এই কঠিন সমস্যা থেকে মা বোনেরা মুক্তি পেতে পারেন।

শেষ কথাঃ

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে শিমুল মূল এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। প্রাকৃতিক যে কোন খাবার অল্প কয়েকদিন খেলে এর নির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই আমাদেরকে নিয়মিত এক থেকে দেড় মাস খেতে হবে তাহলে এর ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হন তাহলে আমাদের সার্থক... আজ তাহলে এ পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।২০৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url