খাবারে বিষক্রিয়া রোধ করবেন কী করে জেনে নিন
খাদ্যদ্রব্য সঠিকভাবে, পরিষ্কারভাবে এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রস্তুত না হলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, খাবারে বিষাক্ত উপাদান বা সঠিকভাবে না খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া, বমি, জন্ডিস, জ্বর, পেটব্যথা, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এমনকি পক্ষাঘাতও হতে পারে।
খাবারে বিষক্রিয়া রোধ করবেন কী করে
সবজি ও ফল বাজার থেকে বাড়িতে আনার আগে কলের পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গাজর, বীট, শালগম, আলুর মতো শক্ত সবজিতে ব্রাশ ব্যবহার করলে ময়লা ও জীবাণু দূর হবে। তাজা ফল বা সবজিতে জীবাণুনাশক ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করবেন না।
বাজার থেকে মাছ-মাংস আনার পর ভালো করে ধুয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রান্না করুন বা প্যাক করে ফ্রিজে রাখুন।
খাবার বিশেষ করে মাছ-মাংস-দুধ ঠিকমতো সিদ্ধ বা সিদ্ধ না করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে।
রেফ্রিজারেটরে কাঁচা মাছ ও মাংস থেকে শাকসবজি ও ফলমূল আলাদা শেলফে রাখতে হবে। খাবার একসাথে রাখলে এক খাবার থেকে অন্য খাবারে জীবাণু ছড়াতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মাসিক দেরিতে হওয়ার ৭ টি কারন বা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হওয়ার কারণ
ম্যারিনেট করা মাছ ও মাংসকে ঢেকে বা ফ্রিজে রাখতে হবে।
তাজা ফল কেটে বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করলে পুষ্টিগুণ কমে যায়। তাই সঙ্গে সঙ্গে খাওয়াই ভালো।
রান্না করা খাবার বেশিক্ষণ রাখতে চাইলে অবশ্যই ঢেকে ফ্রিজে রাখতে হবে।
পচনশীল খাবার নির্দিষ্ট তারিখের পরে খাওয়া উচিত নয়।
রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা খাবার অবশ্যই ভালোভাবে গরম করতে হবে।
খাবার স্পর্শ করার আগে এবং তৈরি করার আগে, টয়লেট ব্যবহার করার পরে, মাছ-মাংস ধোয়ার পরে, পোষা প্রাণীদের পরিচালনার পরে বা আবর্জনা ফেলার পরে হাত ভালভাবে সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
রান্নাঘর, রেফ্রিজারেটর, জলের ফিল্টার, ডিসপোজেবল ন্যাপকিন এবং খাবার তৈরির সরঞ্জাম ব্যবহার করার পরে গরম জল বা সাবান দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার এবং শুকাতে হবে।
শেষ কথা
বন্ধুরা এই বিষয়ে যদি আপনি আরো জানতে চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করুন। আমাদের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লাগলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন।আজকে তাহলে এখানেই শেষ করা যাক। কথা হবে পরের কোন একটি নতুন আর্টিকেলে নিয়ে।ধন্যবাদ। ২০১
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url