টক দই নাকি মিষ্টি দই কোনটি ভালো জেনে নিন।

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো টক দই নাকি মিষ্টি দই খাওয়া ভালো । তাই আপনি যদি টক দই নাকি মিষ্টি দই খাবেন সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, কারণ এই পোস্টটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন- টক দই নাকি মিষ্টি দই কোনটি খাবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক- টক দই নাকি মিষ্টি দই কোনটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারি।

দই আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় খাবার। মিষ্টি এবং টক উভয় দই এখানে জনপ্রিয়। অনেকেরই প্রতিদিনের খাবারে টক দই থাকে, আবার কারও পছন্দের তালিকায় থাকে মিষ্টি দই। কিন্তু আপনি কি জানেন কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

টক দই নাকি মিষ্টি দই কোনটি ভালো জেনে নিন।


টক দই নাকি মিষ্টি দই কোনটি খাওয়া ভালো- এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুষ্টিবিদ তারানা জান্নাত মুমু।

তিনি বলেন, দই প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। যারা দুধ হজম করতে পারেন না তারা নিয়মিত দই খেতে পারেন। দই শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

  • দই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোবায়োটিক, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
  • এতে রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া, যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।
  • এটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ, যা হাড়কে মজবুত করে।
  • সহজপাচ্য হওয়ায় ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই খেতে পারেন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

টক দই নাকি মিষ্টি দই খাবেন

টক দই এবং মিষ্টি দই এর পুষ্টিগুণ একই। মিষ্টি স্বাদের কারণে বেশিরভাগ মানুষই মিষ্টি দই পছন্দ করেন। তবে বাস্তবতা হলো টক দই মিষ্টি দই থেকে ভালো। কারণ টক দইতে চিনি বা মিষ্টি কিছু যোগ করা হয় না। আর সাদা চিনি শরীরের অনেক ক্ষতি করে এটা আমরা সবাই জানি।

যাদের ডায়াবেটিস নেই এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে অর্থাৎ একজন সুস্থ মানুষ মিষ্টি দই খেতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত মিষ্টি দই খাওয়া যাবে না। কারণ মিষ্টি দইয়ে বেশি চিনি থাকার কারণে ক্যালরি বাড়ে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বাড়বে। এ ছাড়া শরীরে গ্লুকোজ্রত মাত্রা বেড়ে গিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।

টক দই ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় টক দই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যারা টক দই একেবারেই খেতে পারেন না তারা বিভিন্ন ফল, খেজুর বা গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন।

মিষ্টি দই যেহেতু ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকর, তাই তারা টক দই খাবেন।
্তাছাড়া ক্যান্সার আক্রান্তদের মিষ্টি দই এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ চিনি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা টক দই নাকি মিষ্টি দই খাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। যদি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন ।

পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে একটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। কিছু বুঝতে সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট করুন। আমরা মন্তব্যে রিপ্লে করে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। (201)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url