শিশু কিছু খেতে চায় না - শিশু কিছু খেতে চায় না কী করবেন
সুপ্রিয় পাঠক বিন্দু প্রায় প্রত্যেক মায়েরই অভিযোগ থাকে যে শিশু একেবারেই খেতে চায় না, খেতে খুব কষ্ট হয়। খাওয়ার প্রতি অনীহা বিশেষ করে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে লক্ষণীয়।
প্রায় প্রত্যেক মায়েরই অভিযোগ থাকে যে শিশু একেবারেই খেতে চায় না, খেতে খুব কষ্ট হয়। খাওয়ার প্রতি অনীহা বিশেষ করে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে লক্ষণীয়। শিশুর খেতে না চাওয়ার আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করেছি।
শিশু কিছু খেতে চায় না - শিশু কিছু খেতে চায় না কী করবেন
বৈচিত্র্যের অভাব
শিশুরা প্রতিদিন একই খাবার খেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
খাদ্যের অনুপযুক্ত ঘনত্ব
বেশি তরল বা সম্পূর্ণ মিশ্রিত খাবার দিলে অনেক শিশুই খাবারের স্বাদ বুঝতে পারে না। শিশুদের শক্ত বা গলদা খাবার গিলতেও অসুবিধা হয়।
বুকের দুধ খাওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার দেওয়া
বাচ্চাদের পেট আকারে বেশ ছোট। তাই দুধের পরপরই ভারী খাবার দিলে বাচ্চারা খেতে চায় না। কারণ দুধ তাদের পেট ভরে।
ঘন ঘন খাওয়ানো
পিতামাতারা মনে করেন যে তাদের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব তাদের সন্তানকে খাওয়ানো। তাই কেউ কেউ পেট ভরে না ভেবে কিছুক্ষণ পর বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে চান। এটা এমন একটা ব্যাপার যে, বাবা-মায়ের মন না ভরে সন্তানের পেট ভরবে না। মনে রাখবেন, এমন কিছু করবেন না যাতে আপনার শিশুকে খাবারের ভয় দেখায়।
বাইরে খাওয়ার আগ্রহ
চকলেট, চিপস, জুস, ললিপপ ইত্যাদি শিশুর স্বাদ নষ্ট করে। এই বয়সে শিশুরা বাইরের খাবারে অভ্যস্ত হলে তারা ঘরে তৈরি খাবারের প্রতি বিরূপ হয়ে পড়ে।
পর্যবেক্ষণ
খেয়াল করুন আপনার শিশু কি ঘরে তৈরি খাবার আগ্রহ নিয়ে খায়। কিন্তু প্রতিদিন দিবেন না। এতে সেই খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। প্রতি 2/3 দিন এটি তৈরি করুন। আগ্রহ নিয়ে খাবে।
স্বাদ পরিবর্তন করুন
শিশুকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে। যেমন, আপনার শিশু যদি একবারে দুধ ও ডিম খেতে না চায়, তাহলে ডিম ও দুধ দিয়ে পুডিং বানাতে পারেন। আপনি যদি মাছ এবং মাংস খেতে না চান তবে আপনি আপনার পছন্দের অন্যান্য খাবারে মাছ এবং মাংস মিশিয়ে নিতে পারেন।
ক্ষুধা তৈরি করা
শিশুর ক্ষুধা বিকাশের জন্য সময় দেওয়া উচিত। এতে সে নিজেই খাবার খেতে আগ্রহী হবে। যদি আপনার সন্তানের কথা বলার জন্য যথেষ্ট বয়স হয় তবে মাঝে মাঝে তাকে জিজ্ঞাসা করুন সে কি খেতে চায়। এর ফলে সেই খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হতে পারে।
খুশি রাখা
শিশুরা সাধারণত চঞ্চল এবং দুষ্টু প্রকৃতির হয়। খাবারের চেয়ে খেলাধুলায় তাদের আগ্রহ বেশি। খেলাধুলা শিশুর মনকে সুস্থ রাখবে এবং শিশুকে ক্ষুধার্তও করবে। খেলতে-খেতে চাইলে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।
সব শিশু সমান নয়
শুধুমাত্র একজনের বাচ্চা বেশি খাওয়ার কারণে আপনার বাচ্চাকে একই পরিমাণ খাওয়ানো উচিত এই ধারণাটি ভিত্তিহীন। বড়দের মধ্যে যেমন পার্থক্য আছে, তেমনি বাচ্চাদের মধ্যেও পার্থক্য আছে। শিশু যদি একেবারেই কম খায়, তাহলে মাঝে মাঝে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
শিশুকে নাদুসনুদুস করার চেয়ে সুস্থ রাখাটা বেশি জরুরি। তাই যদি মনে হয় শিশুর পুষ্টির অভাব বা খাবারের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা শিশু কিছু খেতে চায় না - শিশু কিছু খেতে চায় না কী করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। যদি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
এবং পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে একটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। কিছু বুঝতে সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট করুন। আমরা মন্তব্যে রিপ্লে করে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। (201)
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url