SEO কি? সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত
SEO(এস.ই.ও) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিশেষ করে যারা অনলাইনে বিজনেস করে থাকেন তারা কমবেশি সকলেই পরিচিত অথবা হয়তো অনেকেই এই SEO(এস.ই.ও) সুবিধার গ্রহণ করে থাকেন কিন্তু SEO(এস.ই.ও) কি অথবা কিভাবে এর সাহায্যে আপনি বিজনেসকে আরও বেশি প্রোমোট করবেন সেটা জানেন না। আসলে SEO(এস.ই.ও) শব্দের অর্থ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন তাহলে চলুন আমরা SEO(এস.ই.ও) সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
এক নজরে দেখে নিন
এস.ই.ও (seo) কি?
এস.ই.ও এর পূর্ণ নাম হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনেশন ১৯৯৫ সালে এসে সর্বপ্রথম গুগলের মাধ্যমে নয় বরং সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে আর এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো হল google yahoo Bing ইত্যাদি।
এস.ই.ও কাকে বলে সার্চ ইঞ্জিন গুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করে সার্চ ইঞ্জিন যেমন google ইয়াহু বিং এরকম সার্চ ইঞ্জিনের শুরুর দিকে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে এস.ই.ও বলা হয়। অর্থাৎ আমরা অতি সাধারণ বলতে পারি যে একটু ওয়েবসাইট বা কোন ব্লগ পোস্ট বা কোন প্রোডাক্ট কি সার্চ ইঞ্জিনিয়ার শুরুর দিকে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে বা সমন্বিত যে সকল উপায় রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করাতেই এস.ই.ও বলা হয়।
মনে করুন যে আপনি একজন অনলাইন বিজনেসম্যান বা অনলাইন একজন ব্লগার আপনি চান যে আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনের শুরুর দিকে আসো তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব আমি অসম্ভব আজকে আপনার সম্ভাবনার নামই হলো এস.ই.ও। সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে নিয়ে আসতে সাহায্য করে এই এসইও।
সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন গুলো গুলো সবচেয়ে বেশি যে ওয়েবসাইটগুলোকে গুগলে বা ইয়াহুতে বা বিঙ্গে সার্চ করা হয় সেই ওয়েবসাইটগুলোকে এই সকল সার্চ ইঞ্জিন ১০ থেকে শুন্য এই গ্রুপ অনুসারে সাজিয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার ওই প্রেস কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম বা শুরুর দিকে বা প্রথম টপ টেনের মধ্যে নিয়ে আসার পদ্ধতিটাই হলো এস.ই.ও।
(SEO) এস.ই.ও কিভাবে করা যায়?
এখন আপনাদের মাঝে প্রশ্ন হল সারা বিশ্বে কত পরিমাণ ওয়েবসাইট রয়েছে তা আমাদের বলার বাইরে এর মধ্যে এ সার্চ ইঞ্জিন গুলো কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কে প্রথমের দিকে নিয়ে আসবে সেটাই ভাববার বিষয়। google বা সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে এই কাজগুলো করার জন্য যে সকল ওয়েব ক্রলার বা search রোবট রয়েছে এরা এক ওয়েব পেজ থেকে অন্য ওয়েব পেজে ঘোরাঘুরি করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে।
এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যে সকল ওয়েব পেজগুলো বেশি তথ্য থাকে সেই সকল ওয়েব পেজগুলোকে ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে থাকে। যখন কোন ট্রাফিক গুগলে বা সার্চ ইঞ্জিনে কোন একটি শব্দ বা ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তখন সে সকল রোবট গুলো ওই সকল শব্দের ভিত্তি করে যে সকল শব্দে ওপর পুরো আর্টিকেলের মধ্যে অনেক বহু তথ্য থাকে বা যেগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সেগুলোর ফলাফল ও ট্রাফিককে ক্রমান্বয়ে প্রদান করে থাকে।
এস.ই.ও অপটিমাইজেশন কত প্রকার?
এসইও অপটিমাইজেশন দুই প্রকারঃ
- On-Page SEO। অন পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন
- Off-page SEO।অফ পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন
On-Page SEO।অন পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন
অন পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন হলো একটি ওয়েবসাইটের ভেতরের কার্যাবলীসমূহ। যেমন আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে কিভাবে সাজাবেন আপনার ওয়েবসাইটের টাইটেল কেমন নাম দিবেন আপনার পোষ্টের মধ্যে কি কি ছবি ব্যবহার করবেন এবং আপনার ছবি ক্যাপশন কেমন হবে এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই অন পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন কাজ করে যে সকল নিয়ম কানুন গুলো রয়েছে এ সকল নিয়ম কানুন বা শর্তগুলো মেনে আপনাকে আপনার ওয়েব পেজ সাজিয়ে তুলতে হবে।
Off-page SEO।অফ পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন
অফ পেজ এস.ই.ও অপটিমাইজেশন হল আপনার পোষ্টের বা ওয়েব পেজের বাইরের কার্যক্রম যেমন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিটি ও ওয়েবসাইটের বহিরাগত অংশ কতজন ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করল কতজন আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো অন্যজনের কাছে শেয়ার করলো।
এবং অন্য ওয়েবসাইটের সাথে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের সংযোগ গুলো এবং লিংক শেয়ারিং ইত্যাদি এই সমস্ত কার্যক্রম গুলো তৈরি হয় যেটা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার দিকে নিয়ে আসতে সহায়তা করে থাকে। on page of page ছাড়াও টেকনিক্যাল অপটিমাইজেশন নামে আরো একটি নিয়মাবলী আপনাদেরকে পূরণ করতে হবে এস.ই.ও এর জন্য। এই অক্টোপাইজেশন গুলোকে নিশ্চিত করতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড কতটুকু এবং আর্টিকেল ইনডেক্সিং সিকিউরিটি ও ক্রাউলঅ্যাবিলিটি ইত্যাদি এর উপরে।
এস.ই.ও কেন করবেন? এস.ই.ও করার প্রয়োজনীয়তা কি?
আপনার যদি একটি ওয়েব পেজ বা ব্লগার ওয়েবসাইট থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এস.ই.ও করতে হবে কারণ এসেও যদি আপনি না করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি বেশি ট্রাফিকের কাছে পৌঁছাবে না এবং বেশি পরিচিত হবে না তাই আপনার ওয়েবসাইটকে বেশি পরিচিত বিশ্বস্ততা এবং প্রোডাক্ট সেল বেশি করতে হলে এস.ই.ও করার প্রয়োজনীয়তা অনেক।
এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন আউটসোর্সিং এর কাজ যেমন কিবোর্ড রিসার্চ ব্যাক লিঙ্ক এন্ড ফিন্যান্সিং ও কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি বিশ জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠেছে এই এস.ই.ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে। আপনার ওয়েবসাইটটিতে যখন বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক প্রবেশ করবে তখন যদি আপনার ওয়েবসাইটটিতে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করা থাকে তাহলে আপনি সি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর আসলে আপনি তাদের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
এস.ই.ও এর প্রকারভেদ
এস.ই.ও এর প্রকারভেদ দুই প্রকারঃ যেমন
- হোয়াইট হ্যাট এস.ই.ও (white hat seo)
- ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও (black hat seo)
White Hat SEO। হোয়াইট হ্যাট এস.ই.ও
এই হোয়াইট হ্যাট এসেও এটা কি সার্চ ইঞ্জিনের যে সকল শর্তগুলো রয়েছে সে সকল শর্তাবলী মেনে একটি ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনের শুরুতে নিয়ে আসা পদ্ধতিকেই বলা হয় হোয়াইট হ্যাট এসইও এটা সময়সাপেক্ষ অনুযায়ী অধিক কষ্টকর এবং এতে করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটি থাকবে নিরাপদ। হোয়াইট হ্যাট এসইও মূলত এস.ই.ও অপটিমাইজেশন ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও অপটিমাইজেশন এর এখানে কোন জায়গা নেই।
Black Hat SEO। ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও
ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও হল একটি চোরাই পদ্ধতি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি যদি কোন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেলের উপর এসইও করেন এবং এই ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও টা আসলে কি ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও হলো কোন ওয়েবসাইটের পোস্ট আপনি যদি কপি পেস্ট করে বা স্পামিং করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দেন এবং গুগলের সার্চ রোবট যদি তা বুঝতে পারে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল থেকে পেনাল্টি দিয়ে দিতে পারে।
এবং এই চোরের পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি যদি উপরে আসতে চান এবং google বট যদি বুঝতে পারে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কে ধ্বংস করে দিতে পারে এমনকি আবার ওয়েবসাইটকে আপনি গুগলে আর কোথাও খুঁজে পাবেন না। তাই কখনো ভুল করেও ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না। কেননা আপনি এই ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও ব্যবহার করে যদি গুগলের ফাস্ট পজিশনে আসতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য অনিরাপদ।
তাই আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখে হোয়াইট হ্যাট এস.ই.ও এর মাধ্যমে গুগল ফাস্ট পজিশনে আসার। যদি আপনি ব্ল্যাক হ্যাট এস.ই.ও পদ্ধতি ব্যবহার করে বা অনুসরণ করে গুগলের প্রথম সারির দিকে আসতে পারেন তাহলে গুগলের আর কিছু করার থাকে না। আবার পেমেন্ট মেথডের উপর ভিত্তি করে এস.ই.ও দুই প্রকার।
অর্গানিক এস.ই.ও
অর্গানিক এসইও অত্যন্ত কষ্টকর এবং অধিক সময় সাপেক্ষ একটি কাজ যে সকল ওয়েবসাইট অনাররা তাদের ওয়েবসাইটের পেছনে টাকা পয়সা খরচ করতে চান না তাদের জন্য এ অর্গানিক এস.ই.ও ব্যবহার করাটা উত্তম। কেননা এখানে কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হচ্ছে না আপনি একটু কষ্ট করলেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। বেশিরভাগ ওই পেজ ওনাররা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের ওয়েবসাইটকে এস.ই.ও এর অন্তর্ভুক্ত করছে।
পেইড এস.ই.ও
পেইড এস.ই.ও হল একটি ব্যয়বহুল কাজ। কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য কিছু টাকা পয়সা খরচ করে এসইও এর অন্তর্ভুক্ত করে। এর জন্য ওই সকল সার্চ ইঞ্জিন গুলোকে প্রতিটা ক্লিকের জন্য টাকা পে করতে হয় তবে এটি ব্যয়বহুল হলেও বেশিরভাগ ওয়েবসাইট অনারদের তাদের ওয়েবসাইটের পেছনে এত টাকা পয়সা খরচ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা কিন্তু এসএ করার জন্য এটি একটি দ্রুততম পদ্ধতি বললেই চলে।
কোথায় শিখবেন SEO
ক্যাসিও আপনি যেকোনো অনলাইনে কাজ শেখায় এমন একটি আইটি সেন্টার থেকে শিখে নিতে পারবেন। তবে আপনাকে এসএ শেখার জন্য একজন ভালো এডভাইজার এর প্রয়োজন হবে কিন্তু আপনাকে সে সকল এডমিন অনারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা উত্তম। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতেও কিন্তু এই এসইও সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম শেখানো হয় তাই আপনার দায়িত্ব হলো যে সকল ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনের সম্পর্কে এবং তাদের আইন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া। এবং এসইও শিখে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম বা ফাইবার এর মত মার্কেটপ্লেসে কাজ করা।
উপসংহারঃ SEO কি? সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত
বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা এস.ই.ও কি এস.ই.ও কেন করতে হয় অন পেজ এস.ই.ও অফ পেজ এস.ই.ও ইত্যাদি বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে আশা করি আমাদের এই তুচ্ছ কেনে আর্টিকেলটি অবশ্য বড়দের উপকারে আসবে তাহলে আপনাদের বন্ধু বান্ধবের মধ্যে শেয়ার করার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ জানানো হলো এবং নতুন আর্টিকেল পাবলিশ হওয়ার আগ মুহূর্ত আপনার আমাদের সঙ্গে যখন সাথেই থাকুন ধন্যবাদ। ২০২
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url