মিল্ক শেক খেলে কি হয়-মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
বন্ধুরা আপনার অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা কনফিউজের মধ্যে রয়েছেন যে মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে তা নিয়ে আপনার অনেকেই মিল্ক শেক খেয়ে থাকেন কিন্তু জানেন না যে এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি তাই আমরা আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে মিল্ক শেক খেলে কি হয় মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে তাছাড়া মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট বা মিল্ক শেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আমরা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করতে চলেছি।
বন্ধুরা মিল্কশেক খেলে কি হয় এবং মিল্কশেক খেলে কি ওজন বাড়ে এ কথাটা নিয়ে আপনাদের অনেকেরই মনে অনেক রকমের প্রশ্ন জেগে ওঠে যে আপনি কি চিকন শরীর নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আপনি মিল্কশেক খেলে কি হয় মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে জানতে মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে চলুন এবার আমরা মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মিল্ক শেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
সূচিপত্রটি দেখে নিন
মিল্ক শেক কি? আসলেই মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
বন্ধুরা মিল্ক শেক হচ্ছে এক ধরনের মিষ্টান্ন জাতীয় পানীয়। মিল্ক শেখ বানানোর মূল উপকরণ গুলো হল চিনি ও ঠান্ডা দুধ আপনার কি মনে হয় যে মিল্ক শেখ আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বা আপনার শরীরের জন্য ভালো আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই যে মিল্ক শেক কি? মিল্ক শেখ তৈরি হয় আসলে সাধারণত ঠান্ডা আইসক্রিম, ফল এবং স্বাদযুক্ত কিছু সিরাপ এর ব্যবহার এর মাধ্যমে।
মিল্ক শেক এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য যে সকল ফলগুলো যুক্ত করা হয় সেগুলো হল খেজুর, কলা, আপেল, স্ট্রবেরি,আম, আঙ্গুর, কাঁঠাল ইত্যাদি।মিল্কশেক সাধারণত এক ধরনের একটি ক্রিমি, মিল্ক শেক এ যে ফ্যানা যুক্ত হয় এ ফেনাটি তৈরি হয় মূলত দুধ এবং আইসক্রিমের সংমিশ্রণে। মিল্ক শেক এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য যে সকল সাহায্য যুক্ত সিরাপ ব্যবহার করা হয় সেগুলো হল ভ্যানিলা স্ট্রবেরি চকলেট ইত্যাদি আরো অনেক কিছু এতে মিশ্রিত করা হয় তাছাড়া বিভিন্ন টকিং যেগুলো হল ক্রিম ফল ক্যান্ডি ইত্যাদি এগুলোর মত সমৃদ্ধ এবং উচ্চ চিনির তালিকা বেশি থাকায় এগুলো শরীরের ওজন আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
মিল্কশেক খেলে কি হয়
মিল্ক শেখ খেলে কি হয় মূলত এ সকল বিষয়বস্তু জানার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভ্রমণ করতে এসেছেন তাহলে আজকে আমরা জানব যে বিষয়টি সেটি হল মিল্ক শেক খেলে কি হয়। এই মিল্কশির সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত যদি আমরা মিল্ক শেখ খেলে কি হয় না জেনে থাকে এবং আমরা মিল্ক সে খেতে থাকে তাহলে আমরা সেটা কেন খাচ্ছি এবং আমাদের দেহের জন্য সেটি প্রয়োজন আছে কিনা তা আমরা বুঝতে পারবো না তাই আমাদেরকে মিল্ক শেখ খেলে কি হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে তাহলে চলুন এবার জানা যাক।
আরো পড়ুনঃ লিভারে চর্বি কমানোর খাবার জেনে নিন
মিল্ক শেখ যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য একটি উপকারী ফল সেহেতু এটি আমাদের শরীরের উপকার রয়েছে বরং আমরা যেটা মনে করি যে মিল্কশেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি এবং মেন শিট খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিনা আসলে মিল্ক শেখ খেলে আমাদের শরীরের জন্য কোনরকম ক্ষতি হয় না যদি আপনার ওজন মাপের তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে তাহলে সেটি আপনার নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে ৫৭ রকমের উপাদান তাই যে সকল উপাদানগুলো রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম বা বেশি পরিমাণে সেগুলো হলো।
- গাজর
- মিষ্টি কুমড়া
- খেজুর এবং
- কিসমিস
- আম
- আপেল
- কলা
- স্ট্রবেরি
- আঙ্গুর
- কাঁঠাল
তাছাড়া এতে রয়েছে আরও বিভিন্ন স্বাদযুক্ত সিরাপ যেমনঃ
- ভ্যানিলা
- চকলেট
- স্ট্রবেরি ইত্যাদি এবং
টপিং আকারে যেসব রয়েছে সেগুলো হল
- বিভিন্ন ফল
- ক্রিম
- হুইপড ও
- ক্যান্ডি
এরকম আরো বিভিন্ন উপাদান এগুলো আমাদের শরীরের মধ্যে যে সকল ঘাটতি গুলো পূরণ করে সেগুলো হল আমাদের দেহের মধ্যে যে সকল ভিটামিন রকম রয়েছে সে সকল ভিটামিন এবং মিনারেল ও ক্যালসিয়াম এগুলোর ঘাটতি পূরণ করে থাকে যদি আপনার শরীর অনেকটাই চিকন বা দুর্বল আকৃতির হয়ে থাকে তাহলে আপনি চিন্তিত না হয়ে মিল্ক শেক খেতে পারেন।
মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে-মিল্ক শেক খেলে কি মোটা হয়
বন্ধুরা এবার আমরা যে বিষয়টি জানতে চলেছি সেটা হল মেঘ শেখ ওজন বাড়ে মিল্ক শেক খেলে কি মোটা হয় এ বিষয় নিয়ে যাদের মনে সন্দেহ রয়েছে যে মিল্ক শেখ খেলে ওজন বাড়ে মিল্ক সে খেলে কি মোটা হয় তারা মনে কোন রকম আমরা আশা করি আপনাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
বাজারে তৈরিকৃত মিল্কশেক বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায় তার মধ্যে যে সকল মিল্ক সেগুলো আমরা বাজারে ক্রয় করতে পারি সেগুলো হল ব্যানানা মিল্ক শেক এবং বাদামের মিল্ক শেক ইত্যাদি। ব্যানানা মিল্ক শেখ বা কলার মিল্ক শেক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সি তাছাড়া এটি অতি ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে।
এবং এর পাশাপাশি আরো একটি মিল্ক শেক রয়েছে যেতে হল বাদামের মিল্কশেক তবে এখানে একটি গ্রহণযোগ্য বিষয় বা আপনাকে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হল আপনি মূলত এই মিল্ক শেক গ্রহণ করছেন আপনার শারীরিক ওজন বৃদ্ধির জন্য কিন্তু আপনাকে একটি জিনিস লক্ষ্য করতে হবে সেটা হল যে আপনি প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করছেন সেটাও নির্ভর করবে আপনার ক্যালরি গ্রহনের উপর দিয়ে।
আরো পড়ুনঃ রোগা থেকে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধির দিক দিয়ে একটি বড় ভূমিকা রাখে যেটি সেটি হল ক্যালোরি যে আপনি প্রতিদিন কি পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করছেন। যদি দেখা যায় যে আপনি প্রতিদিন যে সকল খাবারগুলোতে ক্যালরি রয়েছে সেগুলো আপনার খাওয়া পড়ছে না তাহলে আপনি প্রতিদিন মিল্ক শেক গ্রহণ করতে পারেন কেননা আপনি যখন এটি গ্রহণ করবেন তখন আপনার দেহের মধ্যে এগুলো প্রবেশ করবে যা আপনার দেহে চিনিও ও ক্যলরি প্রবেশের মাধ্যমে দেহের ওজনকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
অনেক সময় একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে যেটা হল আমাদের শরীরের ওজন গ্রাস পাওয়া যদি দেখেন যে আপনার শাড়ির ওজন গ্রাস পাচ্ছে তাহলে আপনি নিয়মিত শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে বাদামের মিল্কশেক গ্রহণ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে আপনার শরীরের ওজন অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম-মিল্ক শেক কিভাবে খেতে হয়
এই পৃথিবীতে আমি যে সকল কাজগুলো করতে যাবেন সেগুলো প্রত্যেকেই কিন্তু এক একটি নিয়ম রয়েছে কোন কাজে কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয় তেমন মিল্ক শেক এর ও কিন্তু কোন ব্যতিক্রম নেই। মিল্ক শেখ খাবার কিন্তু কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যিনি নিয়ম কানুন গুলো আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে আপনি সঠিক উপকার পাবেন এবং আপনি যদি সেগুলো মেনে না চলেন তাহলে এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাহলে চলুন এবার মিলছে খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নেয়া যাক।
- হালকা বা কুসুম কুসুম গরম এক গ্লাস দুধ মিল্ক শেক খাওয়ার জন্য নিতে হবে।
- এবার সেই দুধে ১ থেকে ২ চামচ পরিমাণ মিল্ক শেক মিশিয়ে নিন।
- এবার আপনাকে প্রতিদিন রাতে আপনি যখন খাবার খাবেন তখন আপনার খাদ্য গ্রহণের 30 মিনিট আধা ঘন্টা পূর্বে এই মিল্ক শেক গ্রহণ করুন। আপনি যদি এই সমস্ত নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাবেন।
মিল্ক শেক এর উপকারিতা
আমরা উপরে জেনে এসেছি মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম মিল্ক শেক খেলে কি হয়? মিল্ক শেক কি? এবার আমরা জানব মিল্ক শেক এর উপকারিতা। তাহলে চলুন এবার আর দেরি না করে আমরা মিল্কশেক এর দাম কত এবং মিল্ক শেক এর উপকারিতা গুলো কি তা জেনে যাক।
মিল্ক শেক এর উপকারিতা গুলো হলোঃ
- মিল্ক শেক। আপনার দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সহযোগিতা করবে এবং আপনার দাঁতকে মজবুত রাখবে।
- মিল্ক শেক সেবনে দ্রুত আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে।
- মিল্ক শেক এ ভিটামিন ডি রয়েছে
- মিল্ক শেক এর প্রোটিন আমাদের শরীরের পেশী গঠন করতে সহযোগিতা করে।
- এই মিল্কশেক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তাই আমাদের পুষ্টি উপাদান করতে এবং আমাদের দেহকে সফল রাখতে সহযোগিতা করে এই মিল্ক শেক।
- আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।
- আমাদের দেহের মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি থেকে থাকে সে ঘাটতি গুলোকে পূরণ করে থাকে এই মিল্ক শেক।
- মিল্ক শেক প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার।
- মিল্ক শেক আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মিল্কশেক আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বন্ধুরা ওপরে উল্লেখিত যে সকল উপকার গুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের যদি শরীর দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে মিল্কশেক গ্রহণ করতে পারেন তবে দোকানে বাজারজাতকৃত যেসব মিল্ক শেক পাওয়া যায় সেগুলো ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে নিবেন।
মিল্ক শেক এর অপকারিতা-মিল্ক শেক এর ক্ষতিকর দিক-মিল্ক শেক বেশি খেলে কি কি সমস্যা হয়
বন্ধুরা একটা জিনিস মাথায় রাখবেন যেতে হল যে জিনিসে উপকরণ রয়েছে সেই জিনিসই কিন্তু আবার অপকারও রয়েছে তাই এতক্ষন আমরা মিল্কশেক এর উপকারিতা গুলো আলোচনা করলাম এখন আমরা মিউসিক এর কিছু অপকারিত রয়েছে সেগুলো নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
আপনাদের যাদের পেটের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের মতো সমস্যা রয়েছে তারা ব্যানানা মিল্ক শেক ফ্লেভারটি খাবেন না কেননা একটি সম্পূর্ণ কলার ফ্লেভার বা কলা দ্বারা তৈরি যেহেতু কলা অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এই ব্যানানা ফ্লেভার অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। আপনি যদি ব্যানানা মিল্ক শেক বা কলার মিল্ক শেক প্রতিদিন খান তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে।
এবং আপনার দেহের রক্তের কোলেস্টেরল এবং ট্রাই গ্লিসারাইড এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এবং আমরা এতদিন যাবত তেমন একটা মিল্ক শেক এর তেমন একটা কোন অপকারিতা খুঁজে পাইনি। তাছাড়া আমরা এক কথায় বলতে পারি যে মিউজিক প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ এর বেশি না খাওয়াই ভালো তাহলে আমরা আশা করি যে আপনারা মিল্ক শেক এর অপকারিতা গুলো জানতে পেরেছেন বা বুঝতে পেরেছেন।
মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম-মিল্ক শেক কিভাবে বানায়-মিল্ক শেক কিভাবে বানাতে হয়?
বন্ধুরা মিল্ক শেক যেহেতু একটি কার্যকরী উপাদান সেহেতু একটি কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাসা থেকে বানিয়ে নেওয়া যায় মিল্ক শেক বানানো তেমন কঠিন কোন কাজ নেই এটি নির্ভর করবে বা অতি সুস্বাদু করা যাবে আপনার দক্ষতার ওপর এবং আপনার কাজের উপরে তাহলে কিভাবে বানানো যায় সেই দুধের পানীয় বা কিভাবে আরো বেশি স্বাদ করা যায়।
এই পানীয় বা বা মিল্ক শেক বানানোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় যে বিষয়টি হল সেটা হল ঘনত্ব কতটা ঘনত্ব হলে এই মিল্ক শেক বেশি স্বাদ হবে। প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে এক কাপ পরিমাণ দুধ দিয়ে দিন এরপরে সেখানে পরিমাণ মতো আইসক্রিম দিন কিন্তু আইসক্রিম ঢালার পরবে আপনাকে কিছুক্ষণ রেফ্রিজারেটরের বাইরে রাখতে হবে যেন ব্লেন্ডারে পেস্ট করার সময় সেটি বেশি শক্ত না থাকে।
এবার যদি আপনার ঘনত্ব কম পরিমাণে পছন্দ হয় তাহলে সেখানে আপনি দুধের পরিমাণ কমিয়ে দিন তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে স্বাদ সবচেয়ে বেশি করতে হলে সেটি থক থকে কিংবা যেন একদম পাতলা না হয়ে যায়। ব্লেন্ডারে যখন আপনি বেশিক্ষণ ধরে ব্লেন্ড করবেন তখন সেটি কিন্তু একদম পাতলা হয়ে যায় তখন সেটির স্বাদ ভালো হয় না তখন এমন পরিস্থিতি আপনি যখন পড়বেন তখন কিন্তু আপনার সে মিল্ক শেক ভালো লাগবে না তাই এটি ৭যুক্ত করতে হলে আপনাকে আইসক্রিমের ব্যবহার করতে হবে যেন আপনার মিল্ক শেক টি ঘন হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ আখরোটের পুষ্টিগুন, উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
খেজুরের মিল্ক শেক তৈরির নিয়ম
খেজুরের মিল্কশেক ছোট বড় সকলের জন্যই স্বাস্থ্যকরী এটি তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাকে খেজুরের দানা ফেলে দিয়ে যার কাব খেজুর নিতে হবে এবং তাতে পরিমাণ মতো যিনি ব্যবহার করতে হবে এবং ৭০০ থেকে ৭২০ মিলিগ্রামের মত দুধ এবং এক কাপ পরিমাণ মতো আইসক্রিম বা ice এর ব্যবহার করতে হবে এবার আপনি সেটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে পরবর্তীতে সেটি আপনি পরিবেশন করতে পারেন।
চকলেট মিল্ক শেক তৈরির নিয়ম
চকলেট মিল্ক শেক এটি কিন্তু বাচ্চাদের জন্য খুবই পছন্দনীয় একটি খাবার যা বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী তাহলে এর চকলেট মিল্কশে একটি তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমে দুই কাপ পরিমাণ দুধ তিন চা চামচ পরিমাণ ভ্যানিল হওয়ার এবং একটি কলা ও ক্যারামেল আইসক্রিমের ক্রিম ও দুই চে চামচ যেকোনো লিকুইড চকলেট ভালো হবে একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে হালকা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে সেটি বাচ্চাদের মাঝে পরিবেশন করতে পারেন তবে এটি সপ্তাহে দুই দিন পরিমাণ মতো খাওয়ালে বেশ উপকার পেতে পারেন।
আসল মিল্ক শেক চেনার উপায়
আপনারা যারা বাজার থেকে বা বিভিন্ন দোকান থেকে এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন সব থেকে মিল্কশেক কিনে থাকেন কিন্তু আপনারা জানেন না যে আসলে কোন মিল্ক সেটা আসল এবং কোনটি নকল তাহলে আপনাদের আসল মিল্ক শেক চিন্তে হলে যে বিষয়গুলো আপনাদের জানা প্রয়োজন।
- প্যাকেট দেখেঃ আপনি যখন কোন দোকান বা অনলাইন সব থেকে মিল্কশীক কিনবেন তখন প্রথমে আপনার উচিত সেটি ভালো প্যাকেটটি দেখে নেওয়া এবং তার যে সকল গুনাগুন গুলো রয়েছে সেগুলো ভালো হবে পড়ে নেওয়া তাছাড়া আপনাকে প্যাকেটের গায়ের রং এবং প্যাকেটের লোগো ভালোভাবে দেখতে হবে।
- পণ্যের রঙ দেখেঃ আপনি যখন মিল্ক শেক কিনবেন তখন ভালো হবে খেয়াল করবেন যে আপনি পূর্বে যে মিল্ক শেক টি কিনেছেন সেটির রং এবং পরবর্তীতে যেটি কিনলেন সেটা রং কি একই যদি একই না হয় তাহলে সেটি নকল এবং পণ্যের লোগো ঠিক থাকলেও অনেক সময় পণ্যের মান ঠিক থাকে না তাই আপনি যে কোম্পানির মিল্ক শেক আপনার কাছে ভালো হয় সে কোম্পানির লোগো এবং রংটি ভালোভাবে চিনে নেবেন।
- পণ্যের সেন্ট বা সুগন্ধিঃ যেকোনো পণ্য কেনার পূর্বে সে পণ্যের স্বাদ এবং গন্ধ ভালো হবে জেনে নিন ভালো মানের পণ্যের কখনো খারাপ এবং অসাধযুক্ত হবে না তাই কোন পণ্য ক্রয়ের পূর্বেই সেই পণ্যের স্বাদ এবং গন্ধ ভালো হবে খেয়াল করবেন।
- এবং দাম বা মূল্যঃ যেকোনো জিনিসের আসল নকল যাচাই-বাছাই করার মূল একটি বিষয় হলো মূল্য বা দাম অনেক সময় অরিজিনাল আসল পণ্যের দাম সব সময় বেশি হয়ে থাকে এবং নকল পণ্যের দাম কম হয়ে থাকে তাই ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হলেও আপনারা ভালো জিনিসটাই কিনবেন তাহলে আপনারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।
মিল্ক শেক এর পুষ্টিগুণ-মিল্ক শেক এর পুষ্টি উপাদান
মিউজিকের মধ্যে যে সকল পোস্টিং বা পোস্ট উপাদান করে রয়েছে আপনার অনেকেই সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান মিল্ক শেক এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের পোস্টটি উপাদান বা পুষ্টিগুণ রয়েছে চলুন তাহলে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক ১০০ গ্রাম নিয়োগ শেখের মধ্যে কি পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো নিচে বলা হল।
১০০ গ্রাম মিল্ক শেকের পুষ্টি উপাদানঃ
- ক্যালোরি ১১১.৮ গ্রাম
- পটাশিয়াম ১৮১ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ১৩%
- ভিটামিন ডি ১০%
- সোডিয়াম ৯৮ মিলিগ্রাম
- শর্করা ১৬ গ্রাম
- ফ্যাট বা চর্বি ১.৮ গ্রাম
- কোলেস্টেরল ১৪ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ৩%
- প্রোটিন ৩. ৭ গ্রাম
- চিনি ১৬ গ্রাম
আপনারা তাহলে মিল শেখের মধ্যে কি পরিমান পুষ্টিগুণ বা পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে সেগুলো জানলেন এবার মিল্ক শেক সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে নিচের দিকে চোখ রাখুন।
মিল্ক শেক এর প্রাইস কত-মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে-মিল্ক শেক প্রাইস ইন বাংলাদেশ?
বন্ধুরা আপনারা অনেকেই ভালো কোম্পানির মিল্কশেক খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিন্তু বাজারে এখন অনেকেই নকল দ্রব্য বাজারজাত করছে আপনার অনেকেই অনেক বেশি কিছু কোম্পানির মিল্ক শেক এর দাম জানেন না তাহলে আমরা আজকে আপনাদেরকে মিল্ক শেক এর দাম সম্পর্কে ধারণা দিব তাহলে আপনারা যখন কোন মুদি দোকানে বা অনলাইন শপিংয়ে মিল্ক শেক ক্রয় করবেন তখন সেটির দাম বুঝতে পারবেন।
- পানামা ফুডস মিল্কশেক কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা
- ইনস্ট্যান্ট আনারস মিল্ক শেক এর দাম ২৫ গ্রামের ৬৫ টাকা।
- চকলেট মিল্ক শেক ২২০ মিলি ৩১.৫০
- ভ্যানিলা ফ্লেভার মিল্কশেক কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা
- স্যাভরি মিল্কশেক প্রিমিক্স ভ্যানিলা ১০০ গ্রামের দাম ১৮০ টাকা
- চকোলেট মিল্ক শেক ড্রিঙ্কস ৩৫০ মিলির দাম ৭১০ টাকা
- চকলেট ড্রাই ফ্রুটস মিল্ক শেক পাউডার এর দাম ১০০ জি এম এস কেজি পতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা
- মিল্কি হয়ে চকলেট মিল্ক শেক ড্রিংকস ৩৫০ মিলির দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
ওয়েট গেইন মিল্ক শেক এর দাম কত?
বন্ধুরা আপনারা একটি বিষয় জেনে অবাক হবেন যে মিল্কশেক খেলে কি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় আমাদেরকে মাঝেমধ্যে দেখে মনে হয় যে শরীর রোগা পাতলা এবং হয়ে গেছে তাহলে আপনি নিয়মিত ওয়েট গেইন মিল্ক শেক খেতে পারেন আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। আমরা উপরে সাধারণ মিল্ক শেক এর দাম কত টাকা সেগুলো ধারণা নিয়েছে এখন আমরা যে বিষয়টি ধারণা নিতে চলেছি সেটি হল হোয়াইট গেইন নিয়োগ শেখ এর দাম কত বাজারে যে সকল মিল্ক শেক পাওয়া যায় সেগুলোর দাম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে দেখা যায়। আপনি যদি সে সকল মিল্ক শেক গুলো খেতে পারেন তাহলে দ্রুতই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ শরীরে শক্তি বৃদ্ধির খাবার জেনে নিন
মিল্ক শেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া-মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট
বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা উপরে যে সকল বিষয়গুলো জেনেছি সেগুলো হলো মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা এখন আমরা যে বিষয়টি জানতে চলেছি সেটা হলো মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট বা মিল্ক শেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত চকলেট মিল্ক শেক গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনি নিশ্চয় এটির ভালো স্বাদ পাবেন।
তবে আপনার দেহের মধ্যে লোহিত রক্ত কণিকা রক্তনালীর জন্য খুব একটা ভালো হবে না বিভিন্ন গবেষণা পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মিল্ক শরীরের রক্তনালী এবং তার পাশাপাশি দেহের লোহিত রক্ত কণিকার কোষের মধ্যে যে অস্বাস্থ্যকরতা পরিবর্তন লক্ষণীয়। তাছাড়া বিশেষ করে দেখা যায় ব্যাননা ফ্লেভার মিল্ক শেক মস্তিষ্কের মধ্যে ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে যেমন দুধ এবং কলা যদি একসঙ্গে আপনি খান তাহলে কিন্তু আপনার দেহের জন্য তেমন কোনো উপকার পাওয়া যায় না তবে আপনারা যেমনটা ভাবছেন তেমনটা না।
বিভিন্ন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে তারা বলে থাকেন যে দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং কলাতে রয়েছে বিভিন্ন উচ্চমাত্রার ফাইবার যার কারণে আপনি যদি দুধ এবং কলা একই সঙ্গে খেয়ে থাকেন তাহলে এতে আপনার হরমোন এবং মস্তিষ্কের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে আশা করি যে আপনারা মিল্ক শেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
মিল্ক শেক এর ছবি
উপসংহারঃ মিল্ক শেক খেলে কি হয়-মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
বন্ধুরা তাহলে আজকে আপনারা মিল্ক শেক খেলে কি হয়, মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে, মিল্ক শেক এর উপকারিতা অপকারিতা, মিল্ক শেক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি আপনাদের আমাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের নতুন আর্টিকেল পাবলিশ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন ধন্যবাদ। ২০২
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url