গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দেরিতে হয় কেন-অনিয়মিত মাসিক কেন হয় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন অনেক মেয়েরা রয়েছে যারা তাদের নিজেদের লজ্জার কারণে পরিবারের সাথে তারা তাদের গোপনীয় বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেনা। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানাবো যে গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দিয়ে থাই কেন এবং অনিয়মিত মাসিক কেন হয় সে সম্পর্কে।

গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দেরিতে হয় কেন

একনজরে দেখে নিন

এছাড়াও এই ব্লগ পোষ্টের মধ্যে আমরা মাসিক সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছি তাই আপনারা আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যে গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দেরিতে হয় কেন এবং নিয়মিত মাসিক কেন হয়। 

গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দেরিতে হয় কেন

সাধারণত একজন নারীর ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে পিরিয়ড মাসিক হয়ে থাকে তবে ১২ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই মেয়েদের মাসিক হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত মাসিক হওয়াটা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় এবং তাদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ তবে সেটি যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে বা নিয়ম অনুযায়ী না হয় তাহলে বুঝতে হবে তার শারীরিক কোন সমস্যা রয়েছে। তবে একজন এর প্রতি এর কেউ নজর দেওয়া প্রয়োজনীয় যে তার কোন অসুস্থতা বা জীবনচর্চায় কোন অস্বাস্থ্যকর ক্ষতিকর অভ্যাস রয়েছে কিনা বা যুক্ত হয়েছে কিনা।

আরো পড়ুনঃ জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয় জেনে নিন

মাসিকের সময়টা কতটা দেরি হলে তাকে লেট মাসিক বলা হয় বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে মাসিকের চক্র বা পিরিয়ডের সময় একই থাকে তবে এক সপ্তাহ দেরি হওয়াটা এটি স্বাভাবিক বলা যায়। যেমন একজন নারীর সাধারণত মাসিক হয়ে থাকে প্রায় ২৫ দিন অন্তর অন্তর কোন কোন মাসে ৩০ দিন অথবা ৩৫ দিন পরেও কিন্তু তাদের মাসিক বা ঋতুস্রাব হয়ে থাকে যদি সাত থেকে আট দিন এর বেশি দেরি হয় তাহলে তাকে লেট বলা যায়।

পিরিয়ড বা মাসিক দিতে হল কারণগুলো নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • জন্মনিয়ন্ত্রণ
  • স্বাস্থ্য সমস্যা 
  • কম ওজন 
  • প্রেগনেন্সি লস 
  • স্ট্রেস 
  • বয়স 
  • গর্ভ অবস্থা ইত্যাদি

জন্মনিয়ন্ত্রণ

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা। যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য পিল রেক্স সহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং ইনজেকশন ব্যবহার করলে পিরিয়ড লেট হয় এবং এই হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ এর পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক থেকে যায়।

স্বাস্থ্য সমস্যা 

স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা যেগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সর্দি ঠান্ডা গলা ইনফেকশন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় মাসিক বা পিরিয়ড লেট হতে পারে তবে বড় কোন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন থাইরয়েড বা পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর কারণে কিন্তু মাসিক অনেক সময় লেট হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ সাদাস্রাব কি প্রেগনেন্সির লক্ষন জেনে নিন

কম ওজন 

ওজন যদি কম হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মাসিক নাম হতে পারে এমনকি কিছুদিন আপনার এই মাসিকের সমস্যা বন্ধ থাকতে পারে।

প্রেগনেন্সি লস 

যখন একজন আগে গর্ভবতী হয়ে পড়েন কিন্তু সে নিজেও জানে না যে সে গর্বিত হয়েছে কিনা এবং নিজে থেকেই তার এই গর্ভ পর্যন্ত সমস্যা হয়ে থাকে এই ঘটনায় সাধারণত মাসিকের সময় কিছুদিন পরপর অতিরিক্ত বা ভাগে রক্তপাত হতে পারে যাকে আমরা অনেকেই দেরীতে পিরিয়ড হওয়া আমার মাসিক হওয়া বলে থাকি।

স্ট্রেস 

স্ট্রেস বা মানসিক উদ্বেগ যদি আপনি অতিরিক্ত বা দীর্ঘক্ষণ সময় নিয়ে আপনি স্ট্রেস এর মত সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাহলে আপনার মাসে পিরিয়ড দেরিতে হয়ে থাকে।

বয়স 

অনেক সময়ই হরমোন জনিত কারণে বা অল্প বয়সী নারীদের মধ্যে কিন্তু এই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়।

গর্ভ অবস্থা

আপনার মাসিক যদি দেরিতে হয় তাহলে আপনি প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন কিনা।

অনিয়মিত মাসিক কেন হয়?

নারীদের বা মেয়েদের সময় মত ও নিয়মমাফিক পিরিয়ড বা মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় তবে অনিয়মিত মাসিক নারী স্বাস্থ্যের জন্য অনুমতি ভালো নয় একেবারেই বন্ধ হওয়া মূলত পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের মত সমস্যা। তবে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে মাসিক নিয়মিত হয় না বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এই অনিয়মিত মাসিক হলে।

অনিয়মিত মাসিক কি

ঋতুচক্র হল প্রতি একজন নারীর হরমোনের প্রভাবে পরিণত একজন নারীর জরায়ুতে চক্রাকার ভাবে যে পরিবর্তনের দেখা দেয় এবং রক্তক্ষরণ জোড়া মিশ্রিত অংশ যোনিপথের মধ্য দিয়ে বের হতে থাকে সেটিই হলো ঋতুচক্র। 

আরো পড়ুনঃ  অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বন্ধ করার ১০ টি উপায় জেনে নিন

যখন কোন নারীর মাসিক বাড়িতে ছিলাম চলাকালীন সময়ে বমি বমি ভাব পিঠে ব্যথা পেটে ব্যথা মাজায় ব্যথা সহ দেহের বিভিন্ন অংশে নানাবিধ সমস্যা হতে থাকে আর যাদের এই পিরিয়ড বা মাসিকের মত সমস্যা প্রতি মাসে হয় না অথবা দুই মাস অন্তর অন্তর বা জন্মসন্তানন্তর হয়ে থাকে তখন তাকেই অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড বলে। অনিয়মিত মাসিকের ফলে মেয়েদের বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। 

অনিয়মিত মাসিক কেন হয়?

অনিয়মিত মাসিক একেবারেই বন্ধ হওয়া polistic ovary syndrome এর জন্য হয়ে থাকে। তবে সাধারণত বলা চাই যে মাসিক অনিমিত হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে যে কারণ গুলোর জন্য মাসিক নিয়মিত হয় না। তাহলে সে বিষয়গুলো কি চলুন জেনে নিই।

আরো পড়ুনঃ হরমোন কি ? হরমোনের কাজ কি জেনে নিন

অনিয়মিত মাসিক না হওয়ার কারণগুলো হলোঃ

  • ধূমপান বা মদ্যপান  
  • অপরিষ্কার বা অপরিচ্ছন্ন থাকা 
  • অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা 
  • অতিরিক্ত কফি পান করা 
  • স্ট্রেস এর মত সমস্যা হওয়া 
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও 
  • ক্যাফিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি।

মাঝ বয়সী যে সকল নারীরা রয়েছে তাদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেওয়ার পেছনে যে কারণটি রয়েছে সেটি হল হরমোনাল পরিবর্তন আর লম্বা সময় যদি সে স্ট্রেসে থাকে তাহলে মাসিক দেরিতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। তাছাড়া একজন নারী যখন গর্ভবতী হয়ে পড়ে কিন্তু সে নিজেও তার গর্ভাবস্থায় সম্পর্কে জানেনা এবং আস্তে আস্তে তার নিজে থেকেই গর্ভপাতের মতো সমস্যা ঘটতে থাকে। এবং সাধারণ মানুষের তুলনায় কিছুদিন পর পর ভারী বা অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার কারণে অনেকেই অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ বলে ধরে নেই। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ১৫ জন ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

তাছাড়া যদি কোন নারীর ওজন কম হয়ে থাকে তাহলে তার এই ওজন কম হওয়ার ফলেও মাসিক দেরিতে হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাছাড়া বার্থ কন্ট্রোল বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেমন পিল নোরিক্স এবং ইনজেকশন সহ আরো অনেক কিছু রয়েছে যেগুলোর ব্যবহার করলে পিরিয়ড বা মাসিক দেরিতে হয়। যদি ঠান্ডা সর্দি এবং গলার ইনফেকশন জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু পিরিয়ড দেরিতে হয় তবে বড় কোন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা যেমন থাইরয়েডের সমস্যা হলে পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণেও কিন্তু মাসিক দেরিতে হতে পারে।

মাসিক দেরিতে হলে কি করবেন-মাসিক দেরিতে হলে করণীয় কি?

নারীদের যদি প্রতিমাসের মাসিক প্রতি মাসে নিয়মিত বা সাধারণভাবে হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে তারা শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স বা হরমোনের মাত্রা ঠিক রয়েছে তবে যদি অনিয়মিত মাসিক হয় তাহলে এর বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই নেব নাকি যৌন বিষয় ক চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ কথাঃ গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দেরিতে হয় কেন-অনিয়মিত মাসিক কেন হয় জেনে নিন

বন্ধুরা এতক্ষন আপনার যে পোস্টটি ধৈর্য ধরার সহকারে পড়লেন সেটি ছিল গর্ভধারণ ছাড়া মাসিক দেরিতে হয় কেন এবং অনিয়মিত মাসিক কেন হয় তা সম্পর্কে আশা করি আমাদের এই পুরো পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন এবং আমরা আশাবাদী যে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা খুব সুন্দর ভাবে দিতে পেরেছি. 

তাহলে আপনাদের একটি কমেন্ট বা একটি মন্তব্য আমাদের ওয়েব সাইটে পোস্ট দেখার আমন্ত্রণ কিন্তু আরো অনেক বৃদ্ধি করে তাই আপনার যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডিতে বা আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যেন তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে গর্ভধারণ ছাড়া মাসিকদের তো হয় কেন এবং নিয়মিত মাসিক কেন হয় এই সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যায় তাই এমন আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ। ২০২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url