টক দই এর বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত
প্রিয় বন্ধুরা আজ আমরা জানবো দইয়ের গুণাগুণ সম্পর্কে। দই খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই দইয়ের গুণাগুণ, পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম। দই সাধারণত দুই ধরনের হয় ১-মিষ্টি দই ২- টক দই) আজ আমরা মিষ্টি দইয়ের গুণাবলী সম্পর্কে জানব।
এটি দুটি মিষ্টি খাবারের মধ্যে একটি কারণ এর স্বাদ অন্যান্য খাবারের থেকে আলাদা এবং এটি খেয়ে তৃপ্তি দেয় তাই এটি প্রায় সবারই পছন্দ। দই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা অত্যাবশ্যকীয় ব্যাকটেরিয়া এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির মাধ্যমে পেটের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
ভূমিকা
আজকে দইয়ের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কারণ দই এমন একটি খাদ্য উপাদান যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। দইয়ের সব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু উপকারী হলেও এটি খাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। কারণ নিয়ম না মেনে যে কোনো খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনুপযুক্ত।
আরো পড়ুনঃ শীতে গরম পানির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়া যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে সেই খাবার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা উচিত। কারণ আমরা যদি সেই খাবারটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় তা না জেনে খেয়ে ফেলি তাহলে তা শরীরে স্বাস্থ্যহানি বা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
দই রেসিপি
দই একটি সুস্বাদু ডেজার্ট। কিন্তু আমরা চাইলে খুব সহজেই ঘরেই তৈরি করতে পারি স্বাস্থ্যকর দই। তাহলে চলুন জেনে নিই দই তৈরির সহজ রেসিপি।
- দই তৈরি করতে প্রথমে এক লিটার দুধে এক কাপ জল মিশিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক মিনিট রাখতে হবে।
- চিনি মেশাতে হবে স্বাদ অনুযায়ী দুধে যে পরিমাণ চিনি খাবেন।
- এরপর দুধ ফুটতে শুরু করলে চুলার আঁচ কমিয়ে ১৫ থেকে ১৬ মিনিট জ্বাল দিতে হবে এবং দুধ মাঝে মাঝে নাড়তে হবে।
- দুধ ঘন ও লালচে হতে শুরু করলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
- এবার একটি মাটির পাত্রে দুধ ঢেলে ঠান্ডা জায়গায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা রাখুন।
- তারপর দইকে নরমাল ফ্রিজে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাখুন ভালো করে শক্ত হয়ে তারপর খাওয়ার উপযোগী হবে।
দই এর উপকারিতা
মিষ্টি দই খাওয়ার উপকারিতা
- যাদের গ্যাসের সমস্যা বা বুকজ্বালা আছে তারা মিষ্টি দই খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- যাদের বদহজম আছে তাদের খাবার হজমের জন্য মিষ্টি দই খুবই উপকারী।
- চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই চিনির পরিবর্তে আমরা মিষ্টি দই খেতে পারি কারণ এতে ক্ষতিকারক পদার্থ কম থাকে।
- দই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই অন্যান্য মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
- দই ভেজাল উপাদান দিয়ে তৈরি তাই এটি খেতে কোনো সমস্যা নেই।
মিষ্টি দই এর অপকারিতা
- মিষ্টি দই খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়।
- মিষ্টি দই খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
- মিষ্টি দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- অতিরিক্ত মিষ্টি দই খেলে শরীরে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য মিষ্টি দই ক্ষতিকর।
- দই খাওয়ার সঠিক সময়
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url