ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতার বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, ডাব একটি অতি পরিচিত ফল, আমরা সকলেই কমবেশি ডাবের পানি গ্রহণ করে থাকি। আজকে আমরা এই পোস্টটিতে ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
ডাবের পানির উপকারিতা
ডাব একটি প্রাকৃতিক ফল এর অনেক উপকারিতা রয়েছে, ডাবের উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হল
ডাবের পানি দেহের পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।ঘনঘন পাতলা পায়খানা বা বমি হলে দেহে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থের ঘাটতি হয় যা ডাবের পানি গ্রহণ করলে তা পূরণ হয়ে থাকে ।নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্ত তৈরি করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
ডাবের পানিতে উচ্চমাত্রায় খনিজ লবণ, ক্যালসিয়া, ম্যাগনেসিয়া, ফসফরাস রয়েছে ।এই সমস্ত খনিজ উপাদান দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।হাড়ের গঠন মজবুত রাখার জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়ামের যা ডাবের পানির মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে
আরো পড়ুনঃ পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিত
ডাবের পানি পান করলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে ডাবের পানিতে কোন চর্বি নেই বরং এটি অতিরিক্ত চিনি শোষণ করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে।যাদের প্রসাবের সমস্যা যেমন জ্বালাপোড়া ডাবের পানি পান করলে তা অনেক অংশে কমে আসে
ডাবের পানিতে রয়েছে ডাই ইউরেটিক উপাদান যা ইউরিনারি ট্রাক ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে নষ্টই শুধু করেনা পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়।মুখে জল বসন্ত দাগ সহ বিভিন্ন ছোট ছোট দাগ দূর করতে প্রতিদিন সকালে ডাবের পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে রাখলে দাগ দূর হয় মুখে লাবণ্যতা ও উজ্জ্বলতা বাড়ে।
আরো পড়ুনঃ আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিত
গ্লুকোজ স্যালাইন হিসেবে ডাবের পানি ব্যবহৃত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সৈনিকদের গ্লুকোজ স্যালাইনের পরিবর্তে ডাবের পানি পান করানো হতো।অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরে ঘামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পানি বের হয়ে যায়, ফলে ডিহাইডেশনের মত সমস্যা দেখা দেয় ডাবে আছে কার্বোহাইড্রেট মিনারেল যা দেহের শক্তি বাড়ায় এবং পানি শূন্যতা দূর করে।
ত্বকের ইনফেকশনও অন্যান্য সমস্যায় ডাবের পানি ব্যবহার বেশ প্রচলিত আছে। ডাবের পানিতে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ডাবের পানি ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে দূর করে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
ডাবের পানি ছাড়াও ডাবের রয়েছে শাঁস যারা ডায়াবেটিকস ভুগছেন তাদের জন্য উপকারে আসতে পারে শাঁস। কারণ ডাবের শাঁসে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং শরীরে বিভিন্ন ক্ষত রোধ করতে সাহায্য করে এছাড়াও হাড় শক্ত করে মানসিক চাপ কমায় দাঁত ভালো রাখে এমনকি কিডনি ও ভালো রাখে ডাবের শাঁসে।
ডাবের পানির অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের ভালো-মন্দ দুইটি দিক থাকে ডাবের পানির জন্য তা বিদ্যমান তবে ডাবের পানিতে অপকারিতা থেকে উপকারিতাই বেশি আসুন জেনে যাক অপকারিতা সম্পর্কে'''''''
অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে কারো কারো ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম কিডনির সমস্যা থাকলে পটাশিয়াম শরীর থেকে বের হয় না। যার ফলে শরীরের ভেতরের পটাশিয়াম এবং ডাবের পানির পটাশিয়াম দুইটা একত্রে বেশি হয়ে কিডনি ও হৃদপিণ্ড নষ্ট করে ফেলে মৃত্যু অবধারিত। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি পান করতে হবে ।
আরো পড়ুনঃ ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও ডুমুরের পুষ্টিগুণ
ঠান্ডা সর্দি কাশিতে ডাবের পানি না গ্রহণ করা উচিত এতে সর্দি কাশি বেড়ে যেতে পারে।ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যার রক্তের চাপ বাড়ায় তাই উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের প্রয়োজনের বেশি ডাবের পানি পান করা যাবে না।
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url