শসা খাওয়ার ১০ টি গুনাগুন-শসা খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
প্রিয় বন্ধুরা শসায় রয়েছে অনেক গুন। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণ সহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলব্য সবজির। শসার হাজার গুণের মধ্যে ১0 টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্র এক নজরে দেখিনি
- শসা দেহের পানিশূন্যতা দূর করে
- শসা দেহের ভেতরে ও বাইরে তাপস শোষণ
- শসা বিষন্নতা দূর করে
- শসা প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
- শসা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে
- শসা চোখের জ্যোতি বাড়ায়
- শসা ছানি পড়া ঠেকাতেও একটি কাজ করে
- শসা মুখ পরিষ্কার রাখে
- শসা চুল ও নখকে সতেজ করে
- শেষ কথা
শসা দেহের পানিশূন্যতা দূর করে
মনে করেন আপনি এমন জায়গায় আছেন যেখানে আপনার হাতের কাছে কোন পানি নেই কিন্তু শসা আছে বড়সড়ো একটি শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন দেখবেন আপনার পিপাসা অনেকটাই মিটে গেছে।
আরো পড়ুনঃ যে কারণে ড্রাগন ফল খাবেন জেনে নিন বিস্তারিত
আপনি আবারও হয়ে উঠবেন সতেজ। কারণ শসার নব্বই ভাগই রয়েছে পানি। তাই আমরা
নিয়মিত শসা খাবার খাওয়া খুব প্রয়োজন।
শসা দেহের ভেতরে ও বাইরে তাপস শোষণ
কখনো কখনো আপনার দেহের ভেতরে ও বাইরের প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব করেন দেহের জ্বালাপোড়া শুরু হয় এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন। সূর্যের তাপে ত্বকের জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে গালে মেখে নিন অবশ্যই ভালো ফল পাবেন। এজন্য আমাদের প্রতিনিয়তই শসা খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
শসা বিষন্নতা দূর করে
শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাঁটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথর গলে যেতে পারে। তাই আমরা বেশি বেশি করে শসা খেতে পারি। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না এটা সকল মানুষের খেতে পারে।
শসা প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
প্রতিদিন আমাদের যে পরিমাণে ভিটামিনের দরকার হয় তা বেশিরভাগই শসার মধ্যে
বিদ্যমান ভিটামিন এ বি ও সি এগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সবুজ
শাক ও গাজরের সঙ্গে বিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়ে
যাবে। তাই আমরা নিয়মিত শসা খাওয়ার চেষ্টা করব।
শসা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে
শসায় উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সিলিকন আছে যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা যায়।শসা উচ্চ মাত্রায় পানি ও নিম্নে মাত্রায় ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ১৫টি দেশি ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
ফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শসা আদর্শ চমক হিসেবে কাজ করে। যারা ওজন কমাতে চান তারা সুপ ও সালাতে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন কাঁচা শশা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে কষ্ট কার জন্য দূর হয়।
শসা চোখের জ্যোতি বাড়ায়
শসা ছানি পড়া ঠেকাতেও একটি কাজ করে
চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে তাই আমরা নিয়মিত শসা খাওয়ার চেষ্টা করব। কারণ চোখের ছানি পড়া ঠেকাতেও একটি কাজ করে তাই আমরা যদি চোখের ছানি পড়া ঠেকাতে চাই
আরো পড়ুনঃ ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
তাহলে নিয়মিত বেশি বেশি শসা খাওয়ার চেষ্টা করব। শসা প্রতিদিন খেলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয় কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শসা মুখ পরিষ্কার রাখে
দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণে আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসা দারুন কাজ করে। শসা কে
গোল করে কেটে নিয়ে এবার একটি গোল করার শসার টুকরো জিব্বার উপরে রেখে সেটি তালুর
সাথে লাগিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রাখুন এরপর বিশেষ বিক্রিয়া ঘটে আপনার
মুখের ভেতর সংক্রমণ বা জীবাণু নষ্ট করে আপনার মুখ করে তুলবে পরিষ্কার ও সতেজ
নিঃশ্বাস।
শসা চুল ও নখকে সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ ও সিলিকা থাকে যা আমাদের চুল ও নখকে করে তোলে সতেজ ও সুন্দর। এছাড়াও চুল বৃদ্ধি করতে অনেক ভূমিকা রাখে শসা। তাই আমরা চেষ্টা করব প্রতিদিনই শসা খাওয়ার কারণ শসায় থাকা খনিজ ও সিলিকা যেটা আমাদের চুলকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই আমরা নিয়মিত শসা খাওয়া রচেষ্টা করব।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা শসার বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি
শসা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আমরা নিয়মিত
খাওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করুন। আজকে এই পর্যন্ত আবার দেখা হবে আর্টিকেলের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ। (201)
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url