জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়-জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়

  ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ ও তার প্রতিকার সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দমেয়েদের অনেক সময় বিভিন্ন কারণে তাদের জরায়ুকে কেটে ফেলতে হয়। এতে আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে যে জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়। আপনি কি জানতে চান জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয় তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এই পোস্টটিতে  জরায়ু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ একনজরে দেখে নিন

• জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়?-জরায়ু কেটে ফেললে কি মাসিক হয়?
• জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়
• জরায়ু কেটে ফেলার কতদিন পরে সহবাস করা যায়
• জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয়
• জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়
• বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ কত
• শেষ কথা 

জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়?-জরায়ু কেটে ফেললে কি মাসিক হয়?

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা যারা মাথা থেকে মাসিক হয় বা জরায় কেটে ফেললে কি মাসিক হয় বা জরায়ু অপারেশনের পর কি মাসিক হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনারা জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে জরার মাথা থেকে মাসিক হয় বা জ্বরের কেটে ফেললে কি মাসিক হয় বিস্তারিত।

আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর সেরা ৬ জন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিস্তারিত

আপনার অনেকেই জরায় অপারেশন করেছেন বা জরায়ু অপারেশন করতে চাচ্ছেন তাদের মনে অনেক সময় এই প্রশ্ন থেকে যায় যে জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়?বা জরায় কেটে ফেললে কি মাসিক হয়? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আপনার প্রশ্ন যদি হয় যে জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়? বা জরায়ু কেটে ফেললে কি মাসিক হয়? তাহলে এই প্রশ্নটি কিন্তু সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে না সঠিক উত্তরটি কি হবে এবার আমরা আপনাদেরকে বলি সঠিক উত্তরটি হল আপনার জরায়ু যদি মানব দেহ থেকে সম্পূর্ণরূপে কেটে ফেলে দেয়া হয়।

তাহলে তার কিন্তু আর কখনো ঋতুস্রাব বা মাসিক হবে না কেননা জরায়ু থেকে কেবল মাসিক বা ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। অতএব আপনার যেহেতু জরাইয়ুই নেই তাহলে আপনার মাসিক বা ঋতুস্রাব কিভাবে হবে।

তাহলে আমরা এবার আপনাদেরকে জানাবো যে জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়? বা জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়? বা জরায়ু কেটে ফেলার কতদিন পর সহবাস করা যায়? বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ কত ইত্যাদি লক্ষীপুর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে এবার বিস্তারিত তথ্য আমরা নিচে একাধারে আপনাদের জানাতে থাকবো।

জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়

জরায়ু না থাকলে কি সহবাস করা যায় ইত্যাদি বিষয় জানতে এসেছেন এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই সাধারণ জ্ঞান নেই যে জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়। জরায়ু না থাকলে ও সহবাস করা যায় কিন্তু জরায়ু না থাকলে কখনো মাসিক হবে না এবং সে কখনো মা হতে পারবেনা।

জরায়ু কেটে ফেলার কতদিন পরে সহবাস করা যায়

জরায় অপারেশনের পর কতদিন পর সহবাস করা যায় বা জরায়ু অপারেশন করার পরে সহবাস করার নিয়ম গুলো কি এ ধরনের প্রশ্ন যদি আপনার মনে করতে থাকে তাহলে আপনি এখনই এই প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের কাছে পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে এবার দেখে নেয়া যাক জরায়ু অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করা যায়? বা জরায় অপারেশনের পর সহবাস করার নিয়ম কি?

আরো পড়ুনঃ হাঁটুর ব্যাথা সারানোর উপায়। হাঁটুর ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।

জরায়ু অপারেশনের পর বিশেষত ডাক্তারগন ৬-৮ সপ্তাহ বা আনুমানিক প্রায় দুই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ডাক্তারগণ সহবাস করতে নিষেধ করে থাকেন। কেননা জরায় অপারেশনের সময় বিশেষ করে জরায় যদি সম্পূর্ণরূপে কেটে এবং সেটি পুনরায় সঠিকভাবে মানব দেহের কোষ গুলো পুনর্গঠিত হতে 

বা সঠিকভাবে স্থাপিত হতে প্রায় দুই মাসের মত সময় লেগে যায় আর এই কারণেই ডাক্তারগণ জরায়ু অপারেশনের পর সহবাস করতে নিষেধ করেন। কেননা এতে আপনার সেখানকার কোষগুলো পুনরায় সংগঠিত হতে অনেকটা সময় লেগে যায়।

তাহলে এবার আপনারা নিচে জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয়? বা জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়? বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ কত? জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়? জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়? ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে জানতে হলে পুরো পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয়

জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয় এ বিষয় নিয়ে জানতে যারা আমাদের ওয়েবসাইট প্রবেশ করেছেন তারা পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয় এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে যান আমরা আশা করি আপনাদেরকে শতভাগ সঠিক উত্তর দিতে তাই সঠিক উত্তরটি জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটি রেগুলার ভিজিট করুন এবং জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয় এই সংবলিত উত্তরটি নিচে দেওয়া হল বিস্তারিত পড়ে নিন।

 আরো পড়ুনঃ সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে বিস্তারিত জেনে নিন

আসলে বন্ধুত্ব ও সন্তান ধরনের অক্ষমতা কিন্তু মোটেই একটি বিষয় না হলেও অনেকটাই কিন্তু কাছাকাছি আগে আমরা যেটাকে বলতাম ইন ফার্টিলিটি এখন আমরা সেটাকে বলি সাফফার্টিলিটি। বর্তমান সময় অনুযায়ী বিভিন্ন বই পুস্তক ঘাটাঘাটি করে এখন জানা যায় যে ইন ফাটিলিটি বলতে কিছু নেই বা অসম্ভব বলতে কিছু নেই। আমরা পর্যায়ক্রমে অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে থাকি।

যদি দেখা যায় যে একজন নারীর গর্ভে ডিম্বাশয় টায় নিয়েই তখন আমরা সেই ডিম্বাশয় টি তার কোন এক রিলেটিভ এর কাছ থেকে আমরা নিয়ে থাকি এবং তাতে সন্তান ধারণ করার মত কাজ করার চেষ্টা করে থাকি। যদি কোন সময় দেখা যায় যে নারীর জরায়ু টায় নেই বা জরায়ু অপারেশন করে ফেলা হয়েছে। 

তখন আমরা তার ডিম্বাণু ও তার পতির শুক্রাণু নিয়ে তার বোনের বা কোন রিলেটিভ এর কাছে সেটি প্রতিস্থাপন করে আমরা থাকি। ওইখানে বাচ্চাটা আস্তে আস্তে বড় হলে প্রসব করানো হয় এবং সে থেকে যে শিশু পৃথিবীর আলো দেখে সেটি কিন্তু সেই নারীর বাচ্চা যাদের ডিম্বাণু নেই তাদের।

বর্তমান সময়ে জরায়ু না থাকলেও বাচ্চা ধানের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার এর ফলে সেটি সম্পূর্ণরূপে করে থাকি বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ ভারত বন্ধ্যাত্ত বা কখনো সন্তান হবে না এমন কথা তারা বলে না বরং তারা ডোনার এগ এর সাহায্যে প্রতিনিয়ত সন্তান জন্মদানে কাজ করে যাচ্ছে তবে এটি আইনতভাবে নিষিদ্ধ হলেও বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত হয়ে কাজ করছে।

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে করুন জরায়ু সম্পূর্ণরূপী কেটে ফেলার পরে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সমস্যা দেখা দিতে পারে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়?

• জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়-(১) ঃ পিরিয়ড বা মাসিক না হওয়া।অপারেশন করার পরে যদি আপনার জরায়ু কেটে ফেলে দেয়া হয় তাহলে আপনার আর কখনোই পিরিয়ড বা মাসিক হবে না কেননা জরায়ুর সঙ্গেই আপনার পিরিয়ড বা মাসিকের সম্পর্ক।
• জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়-(২) ঃ গর্ভধারণ বা সন্তান ধারণ করতে না পারা।গর্ভধারণ করতে গেলে আপনার যেহেতু জরায়ুর প্রয়োজন হয় সেহেতু আপনার যদি সেই জরায়ু টাই  কেটে ফেলে দেয়া হয় তাহলে আপনি আর কখনোই গর্ভধারণ বা সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
• জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়-(৩) ঃ যোনিপথ থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়া।জরায়ু অপারেশন করার পর কিছুদিন পর্যন্ত আপনার যোনি থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে খুব বেশি পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত দেখা দিলে অতি শীঘ্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
• জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়-(৪) ঃ ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব করা।অনেক সময় দেখা যায় যে জরায়ু অপারেশন করার পরে কেটে ফেলে দেয়া হলে আপনার জরায়ুর উপরে পেটে ব্যথা হতে পারে এবং আপনার অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
• জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়-(৫) ঃ হাত-পা ও মুখ ফুলে যাওয়া।কোন কোন সময়ই দেখা যায় নারীদের জরায়ু অপারেশনের পড়ে কেটে ফেলে দেয়া হলে তাদের হাত পা ও মুখ খুলে যায় যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে আপনাকে অতি শীঘ্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

আশা করি আপনারা জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয় এবং জরায়ু অপারেশনের পরে কি কি সমস্যাগুলো হতে পারে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা সঠিক উত্তর পেয়ে গেছে অতএব আপনাদেরকে পুরো পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জরায় অপারেশনের পর কি মাসিক হয় বা জরায়ু অপারেশনের খরচ হতো বাংলাদেশে এবং জরায় কেটে ফেললে কি কি সমস্যা হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সব বিস্তারে আলোচনা করেছি।

বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ কত?

প্রিয় বন্ধুরা আপনার অনেকেই বাংলাদেশের জরায় অপারেশনের খরচ কত এই বিষয় নিয়ে অনেকেরই কিন্তু সাধারণ জ্ঞান নেই বা অনেকেরই জানা নেই অতএব আপনারা যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন সেহেতু আপনাদের কে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য তাই আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় আসা যাক। 

জরায় অপারেশনের খরচ নির্ভর করে বিশেষত্ব আপনার দেহের রোগের জটিলতার উপরে এবং হাসপাতালের ভিন্নতার উপরে একই ধরনের অপারেশন যদি আপনি উন্নত মানের কোন হাসপাতালে করান তাহলে সেখানে আপনাকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। 

আর যদি আপনি অপেক্ষাকৃত মান অনুযায়ী কম উন্নতমানের হাসপাতালে অপারেশন করান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ অতিশয় কম আসবে অতএব আপনি যেকোনো ধরনের অপারেশন করতে পূর্বে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিবেন।

তারপরেও আমরা আপনাদেরকে বলে থাকি যে বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ বর্তমান চিকিৎসা অবস্থা হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সার্জন অনুযায়ী হিসেব হয়ে থাকে। যেমন স্কয়ার হাসপাতালে এক ডোমিনাল জোরে অপারেশনের খরচ করতে হয় প্রায়। 

১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে প্রায় ২ লক্ষ ১৫ হাজার এর মধ্যে আবার ভ্যাজাইনাল জরায়ু অপারেশনের খরচ হয় প্রায়ই ১ লক্ষ ৯ হাজার থেকে ২ লক্ষ ২২ হাজার এর মত প্রায় তবে অনেক হাসপাতালে আপনি এটি ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যেও জরায়ু অপারেশন করাতে পারেন।

শেষ কথাঃ জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়?

প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা আপনাদের সামনে জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়? জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়? জরায়ু কেটে ফেলার কতদিন পরে সহবাস করা যায়? জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয়?  জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়? বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ কত? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমরা খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের সামনে আলোচনা করেছি যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আপনাদের বন্ধু বান্ধবের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং এমন নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে আপনারা এই পোস্টটি পড়ার জন্য আমরা আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।