সকালে খেজুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা জেনে নিন
আমরা প্রায় সকলেই জানি যে খেজুর খাওয়া সুন্নত আবার এই খেজুরের পেছনেও রয়েছে অনেক উপকারিতা রোজার শেষে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও যোগান দেয় এই খেজুর এবং আমাদের শারীরিক ক্লান্তি দূর করা থেকেও অনেক উপকারে আসে এই খেজুর অতএব খেজুরের উপকারিতা গুলো জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে চলুন খেজুরের ১০ টি উপকারিতা জেনে নেয়া যাক
সকালে খেজুর খেলে যে উপকার গুলো হয় তা হল খেজুরে রয়েছে প্রচুর শক্তি, অ্যামাইনো
এসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল, রোজার সময় প্রতিদিন রোজা অবস্থায় আমাদের খালি
পেটে থাকতে হয় সুতরাং খালি পেটে থাকতে গেলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ
এর ঘাটতি হয় অতএব খেজুর খেলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি গুলো পূরণ
হয়।
[নিচে সকালে খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ]
কোলেস্টেরল ও ফ্যাটঃ খেজুরে কোন প্রকারের কোলেস্টেরল এবং বাড়তি কোনো ফ্যাট বা চর্বি থাকে না। যার ফলে আপনি যখনই খেজুর খাওয়া শুরু করবেন তখন অতি সহজেই বিভিন্ন ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা সম্ভবপর হয়ে উঠবে।
প্রোটিনঃ আমাদের শরীরের পেশী গঠন করতে খেজুর একটি গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান। তাই আমরা অতি সহজে বলতে পারি যে খেজুর হলো একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল। খেজুর
আমাদের শরীরের জন্য খুব অপরিহার্য এবং আমাদের শরীরে প্রোটিন সরবরাহ করে
থাকে।
আরো পড়ুনঃ ১৫ টি দেশি ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
ভিটামিনঃ খেজুরের রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের
জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমনঃ ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-৩,
ভিটামিন বি-৫ এছাড়াও খেজুর থেকে আমরা ভিটামিন এ-১ এবং ভিটামিন সি পেয়ে থাকি।
সেই সাথে খেজুর আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ
প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
আয়রনঃ মানবদেহের জন্য আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এবং খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। হলে এটা আমাদের হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং যাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল তাদের জন্য খেজুর রোগ-নিরাময় হিসেবে কাজ করে।
ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড়কে শক্ত করতে সহায়তা
করে। এবং খেজুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়কে শক্ত ও মজবুত
করতে সাহায্য করে এবং শিশুদের খেজুর খাওয়ালে তাদের দাঁতের মাড়িও শক্ত করে।
আরো পড়ুনঃ কাঁঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ওজোন হ্রাসঃ আমাদের যখন ক্ষুধা লাগে তখন মাত্র কয়েকটি খেজুর আমাদের
ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে। এবং আমাদের পাকস্থলীকে কম খাদ্যগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে।
আবার এই সামান্য কয়েকটা খেজুর ই আমাদের শরীরের শর্করার ঘাটতি পূরণ করতে কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
কর্ম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ যে সকল ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত
অনুভব করে তারা সারাদিন পর যদি কয়েক পিচ খেজুর খেয়ে নেয় তাহলে তাদের শরীরের
মধ্যে ইমিউনিটি বেড়ে যাবে এবং তাদের ক্লান্তি কেটে যাবে। আবার খেজুরে প্রাকৃতিক
চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুততার সাথে আমাদের দেহে শক্তি বাড়াতে সাহায্য
করে।
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ খেজুর বিভিন্ন প্রকার
ভিটামিনে ভরপুর থাকায় এটি আমাদের মস্তিষ্কের ও চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি করে সেই
সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে
যে যেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যহ খেজুর খাই তাদের দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভালো
হয়।
আরো পড়ুনঃ ওজন বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ খেজুরে এমনসব পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আবার কখনো কখনো খেজুর ডায়রিয়ার জন্যও উপকারী।
হৃদ রোগ প্রতিরোধঃ খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের
হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে এবং আমাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আবার বিভিন্ন
গবেষণায় দেখা গেছে যে খেজুর আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের খারাপ কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমায় এবং আমাদের দেহে ভালো কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
সর্বশেষ কথাঃ
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আপনাদের মাঝে সকালে খেজুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছি। আমি আশা করি যে আপনারা এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। এবং এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। সুতরাং আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এবং এই পোস্ট বিষয়ক আরো কোন তথ্যাবলী আপনাদের জানার থাকলে বা আমাকে জানানোর থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং এমন আরো পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইট এর পাশে থাকুন। ধন্যবাদ।
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url