বিদ্যুৎ ও আধুনিক জীবন ও দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ এর ব্যবহার।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- বিদ্যুৎতের আবিষ্কার ও তার প্রসার
- বিদ্যুৎ এর ব্যবহার
- আধুনিক জীবনে বিদ্যুৎ
- শিল্পোন্নয়নে বিদ্যুৎ
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ
- কৃষি বিপ্লবে বিদ্যুতের ব্যবহার
- বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিড়ম্বনা
- সবমিলিয়ে শেষ কথা
বিজ্ঞানের এই যুগে বিদ্যুতের অবদান অনির্ণেয়। সভ্যতার বিকাশে বিদ্যুতের ব্যবহার মানব জীবনে বড় কৃতিত্ব। প্রাত্যহিক জীবনে এর বহুমুখী ব্যবহার অপরিহারর্য। সময় ও পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শক্তির প্রয়োজন হয়। আর আমরা বিদ্যুৎ থেকে পেয়েছি সেই শক্তি। মানুষের দৈনন্দিন জীবন আর বিদ্যুৎ একটি অন্যটির সাথে একে অপরের অপূরক হিসেবে জড়িত। বিদ্যুৎ বিহীন মানুষের জীবন যেমন অন্ধকার তেমনি মানব সভ্যতাও অচল।
বিদ্যুৎতের আবিষ্কার ও তার প্রসারঃ
বৈজ্ঞানিক মাইকেল ফ্যারাডে ১৮৩১ সালে বিদ্যুৎ শক্তি আবিষ্কার করে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কালজয়ী অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। আবার Electricity শব্দটি গ্রিক ভাষা থেকে এসেছে তবে এ নামটি নিউট্রন চার্জ সমন্বয়ে গঠিত। কোন বস্তুকে বৈদ্যুতিক চার্জ প্রাপ্ত বস্তুর কাছে দেওয়া হয় এবং এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। রেশম দ্বারা ঘর্ষণ করলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। জ্বালানি পুড়িয়েও বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার আরো পদ্ধতি আছে সেগুলো হল গ্যাস টারবাইন ও নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়।
বিদ্যুৎ এর ব্যবহার
আধুনিক জীবনে বিদ্যুৎ
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের ব্যবহার সর্বাধিক । যে সকল সামগ্রী দ্বারা আধুনিক জীবন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে তার সবগুলোই বিদ্যুতের দ্বারা চলে । যেমনঃ ইলেকট্রিক হিটার , ফ্যান , ফ্রিজ, ইত্যাদি সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ই আমাদের জন্য প্রশান্তি বর্ধক । বিদ্যুৎ এর দ্বারা আমরা সময়ের অপচয় রোধ করতে পারি। বিদ্যুৎ বিভিন্নভাবেই উৎপাদিত হতে পারে । তাই বিদ্যুৎ এর ব্যবহার এ অসুবিধা হলে আমরা জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। আজকাল লোডশেডিং এর প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্যে আপাদকালীন সময়ে গৃহে চার্জার ব্যবহার করা হচ্ছে।এ চার্জার বিদ্যুৎ এর সাহায্যে চার্জ করে রাখা হয় । কাজেই এসব কিছু বিবেচনা করলে দেখা যায় আমাদের আর কোনো সন্দেহ থাকে না যে আধুনিক জীবন ব্যবস্থা বিদ্যুৎ এর ওপর নির্ভরশীল।
আরো পড়ুনঃ ডালিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
শিল্পোন্নয়নে বিদ্যুৎঃ
সভ্যতার বিকাশে শিল্পোন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আর এই শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুৎ
এর ব্যবহার অপূরণীয়। আবার দেশের শিল্প বিপ্লব বিদ্যুৎ না থাকলে যেন অচল। জানা
গেছে প্রতি বছরে দেশের প্রায় অধিকাংশ আয় দেশের শিল্প বিপ্লব থেকে। এক সমীক্ষায়
দেখা গিয়েছে যে কোন শিল্প কারখানায় মাত্র পাঁচ- মিনিটের জন্য যদি বন্ধ রাখা
যায় তাহলে ওই দেশের শিল্পোন্নয়ন ব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে পড়ে। প্রতিদিন শিল্প
ক্ষেত্রগুলিতে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যবস্থা সচল
রাখে। তাই আধুনিক শিল্প বিপ্লবের এই যুগে বিদ্যুতের অবশ্যকতাকে সহজে স্বীকৃতি
দিতে হয়। আবার শিল্পোন্নয়ন কোন অবস্থাতেই সম্ভব হবে না যদি সেখানে বিদ্যুৎ
ব্যবহার করা না হয়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিদ্যুৎঃ
আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ এর গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক চিকিৎসা জগৎ বিদ্যুৎ এর অবদানে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। যেমন ইসিজি, এক্স-রে, সিটি -স্ক্যান প্রভৃতি যান্ত্রিক প্রকৌশলে বিদ্যুৎ এর প্রয়োগ অপরিহার্য। যেমন বিভিন্ন রোগব্যাধি শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর যে পরীক্ষা করন পদ্ধতি আছে তা বিদ্যুৎ ব্যতীত সম্ভব নয়।
কৃষি বিপ্লবে বিদ্যুতের ব্যবহার
বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিড়ম্বনা
মানুষের কল্যাণের জন্যই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অযত্ন ও অবহেলার কারণে
বিদ্যুতের কাজ উল্টো হতে পারে । যেমন আমরা প্রায়ই কলকারখানায়, বড় বড়
ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনতে পাই। যেখানে মানুষ হতাহত ছাড়াও কোটি কোটি
টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। বিদ্যুৎ সাবধানে ব্যবহার করলে তা অবশ্যই কল্যাণ বয়ে আনে ।
আর অসাবধানতায় এটি মরণফাঁদ।
সবমিলিয়ে শেষ কথা
মোটকথা বিদ্যুৎ আমাদের জীবনে আধুনিকতার এক অত্যাবশ্যক উপকরণ বটে। এর ব্যবহার বহুমুখী বিদ্যুতের সদ্ব্যবহার বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা দরকার বা জ্ঞান অর্জন করা একান্ত কর্তব্য।
অতএব-প্রিয় পাঠক, আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের
কাছে শেয়ার করতে পারেন। এবং এই ধরনের আরও পোস্ট পেতে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে
পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url