ফাইভারে(Fiverr) কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি?

 বর্তমানে ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি জেনে নিন। বর্তমান যুগে প্রায় সকল কাজই  অনলাইনে এর মাধ্যমে করা হয়। আমরা কম বেশি সবাই ফাইবার শব্দটির সাথে পরিচিত বলে মনে করা যায়। ফাইবার অনেক বড় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। তাই আমরা আজকে ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা জেনে নেয়া যাক।

ফাইবারে দক্ষতার চাহিদা

পোস্ট সূচিপত্রঃ এক নজরে দেখে নিন 

Fiverr ফাইবার কি 

ফাইবার হল বর্তমানে অনলাইনে একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে যেকোন স্কিলড পারসন খুব সহজেই কাজ করতে পারে। সাধারণত মার্কেটপ্লেস বলতে আমরা যা বুঝে থাকি তাহল পন্য ক্রয়-বিক্রয় করার স্থান যেখানে আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। কিন্তু ফাইবার হল অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি আপনার সার্ভিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে

যেমন ধরেন আপনি একজন মানুষ আপনার এখন অসুখ হয়েছে বা জ্বর হয়েছে সুতরাং আপনি সেই অসুখটি সারানোর জন্য ডাক্তারের কাছে গেলেন এবং ডাক্তার আপনাকে এই সেবা প্রদান করল আর এই সেবা প্রদান করাটাই হলো সার্ভিস এবং ডাক্তার আপনাকে যে সেবা প্রদান করলো বাস সার্ভিস প্রদান করলো এবং তার বিনিময়ে আপনি তাকে যে অর্থ বা টাকা প্রদান করলেন এটা সেটারই একটা উদাহরণ।

সুতরাং ফাইবার ও ঠিক তেমন একটা মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি অনায়াসে ডাক্তারের মত যদি কোন বিষয় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সেই দক্ষতা নিয়ে ফাইবারে কাজ করে বা অন্যকে সার্ভিস প্রদান করে তার বিনিময় কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

Fiverr এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে ফাইবার কি। অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে চান যে ফাইভারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।

সাধারণত বলা যায় যে ফাইবার হলো একটি বিশেষ অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনার নিজস্ব কাজের দক্ষতা অর্জন করে আপনি সেখানে অন্য ব্যক্তিকে সার্ভিস প্রদান করে আপনি অতি সহজেই সেই ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু চার্জ নিবেন বা তার কাছ থেকে কিছু অর্থ উপার্জন করবেন।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে হালাল ইনকামের উপায়

আবার প্রাইমারি যে কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেটা হল ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে আপনি সেগুলোর মধ্যে যেকোন একটি বা দুটি শিখতে পারেন এবং সে দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি ফাইবারে কাজ করতে পারেন। এবং ভালো একটা অর্থ আয় করতে পারবেন ইন্সা আল্লাহ।

বর্তমানে বিশেষ করে যেসব ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করছেন তারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করে ফাইবারে কাজ করে অতি দ্রুতই অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করছেন। তবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতর যেসব কাজ রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো SEO এসইও. আপনি যদি বেসিক এসইও কাজ শিখে থাকেন তাহলেও আপনি অতি দ্রুতই ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা আয় করুন পেমেন্ট বিকাশে বুঝে নিন 2023

তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর শুধু SEOই নয় আরো বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। সেই কাজগুলো হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,কন্টেন্ট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং ইত্যাদি।

Fiverr এর কাজ কি- Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়

ফাইভার যেহেতু অনলাইন প্লাটফর্ম এবং আপনার এখানে যারা কাজ করতে এসেছেন তারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে ফাইভার টা আসলে কি, এবং ফাইভারে কি কি কাজ পাওয়া যায়। ফাইভার হল একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি কোন একটি কাজ জেনে থাকলে সেই কাজ আপনি অন্যকে করে দিয়ে বা সার্ভিস প্রদান করে তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আপনাদের অনেকেরই অজানা রয়ে গেছে যে ফাইবারে কি কি কাজ পাওয়া যায়, তাহলে চলুন আপনাদেরকে আর দেরি না করে ফাইভারে কি কি কাজ পাওয়া যায় তা জানিয়ে দেওয়া যাক।

ফাইভারে হাজার হাজার টাইপের কাজ আছে। তার মধ্যে কয়েকটি হলো-

  • ভয়েস ওভার
  • ডিজিটাল মার্কেটিং 
  • কনটেন্ট ক্রিয়েটরর বা ব্লগ পোস্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • লোগো ডিজাইন
  • ভিডিও ও এনিমেশন
  • ভিডিও এডিটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ভার্চুয়াল এসিস্ট

ইত্যাদি কাজগুলো ফাইভার থেকে পাওয়া যায়। এই সকল কাজগুলোতে আপনারা যদি এক্সপার্ট বা দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আজই ফাইভারে একটি একাউন্ট ওপেন করে কাজ শুরু করে দিন। তবে কাজ শুরুর আগে অবশ্যই ফাইভার সম্পর্কে গুগল বা ইউটিউব থেকে ভালো ভাবে জেনে নিন। অথবা ফাইভারের উপড় একটি কোর্স করে নিতে পারেন।

Fiverr এ অ্যাকাউন্ট করার নিয়ম

জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে ফাইবার একটি অন্যতম, আর তাই প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক তরুণ মার্কেটপ্লেসটিতে একাউন্ট খুলছেন, তবে আপনি কি জানেন যে আপনি ফাইবারের সঠিক উপায়ে একাউন্টটি করছেন কিন্‌ যদি আপনি জেনে না থাকেন তাহলে আজকে এই পোষ্টের মধ্যে আপনি জেনে নিন।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসটিতে প্রথমে (Fiverr.com) লিখে গুগলে সার্চ করে সেখানে প্রবেশ করতে হবে তারপরে আপনাকে ডান দিকের উপরে থাকা (Become a seller)বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে, তারপর সেখানে ইমেল এড্রেস, ইউনিক ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে জয়েন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ফাইভারে পাঠানো ইমেল টি যাচাই করতে আপনাকে একটি ইমেইল পাঠাবে। 

আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন ঘরে বসে বিস্তারিত জেনে নিন

এবার আপনার পাঠানো ইমেইল বার্তায় ক্লিক করলে আপনার দেওয়া ইমেইলটি ভেরিফিকেশন করলে একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে। তারপর ফাইবার প্রোফাইলের অ্যাকাউন্ট সেকশন এর মধ্যে প্রবেশ করে আপনার নাম, যেটি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে রয়েছে সেটি এবং টেলিফোন নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন যার সঠিক উত্তর প্রদান করতে হবে। তারপর টেলিফোন নম্বর যাচাই করা হয়ে গেলে আপনাকে স্টার্ট সেলিং বাটনে ক্লিক করে নিচে সংবলিত তথ্যাবলী গুলো সঠিক নিয়মে আপডেট করতে হবে।

পার্সোনাল ইনফরমেশনঃ ফাইভারে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে পার্সোনাল ইনফো লেখা আছে যেখানে সেখানে প্রবেশ করে নিজের নাম, আপনার প্রোফাইল ছবি, আপনার কাজের বিস্তারিত বর্ণনা এবং আপনার ভাষা ও লেভেল নির্বাচন করে কন্টিনিউ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবং ভাষা নির্বাচনের সময় আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা সিলেক্ট করতে হবে, তাছাড়া আপনি ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষাও নির্বাচন করতে পারেন।

ছবিঃ আপনি বিভিন্ন পাসপোর্ট আকারের, বাঁকাভাবে বা বিভিন্ন অগোছালোভাবে ছবি দেওয়ার চাইতে ফ্রন্ট ফেসিং বা সামনে থেকে পুরোটাই যেন ভালোভাবে দেখা যায় এমন ছবি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসিমুখে ছবি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

আপনার জীবনীঃ আপনার ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি bio দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এতে করে ক্লায়েন্টরা আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করবে আপনার সম্পর্কে কিছু জানতে পারবে।  আর তাই আপনার পার্সোনাল লাইফ, স্কিলস এন্ড কাজের দক্ষতা সম্পর্কে সব তথ্য ভালো হবে লিখতে হবে। তাছাড়া আপনার কাজের এক্সপেরিয়েন্স ও স্কিলস তুলে ধরার পাশাপাশি ক্লায়েন্টরা কেন আপনাকে কাজ দিবে এ সম্পর্কিত কিছু পুর্ব কাজের অভিজ্ঞতা লিখে দিতে পারেন। 

তাছাড়া আপনার ্কমপ্লিট করা কিছু কাজের উল্লেখযোগ্য তথ্য সংযুক্ত করতে পারেন। আপনার জীবনী লেখার পাশাপাশি আপনাকে পরবর্তী ধাপে প্রফেশনাল ইনফো লেখা আছে, যেখানে ক্লিক করে আপনার পেশা নির্বাচন করতে হবে এবং আপনি শি পেশায় কত বছর ধরে নিযুক্ত আছেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনাকে কয়েকটি দক্ষতা উল্লেখ করতে হবে এবং আপনি বর্তমানে কোন বিষয়ে দক্ষ ও আপনার দক্ষতার লেভেল সম্পর্কে জানাতে হবে।

ফাইভারে কাজ করার নিয়ম 

বিশেষ করে যে কোন কাজ করার জন্যই কিছু না কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা সেই নিয়মগুলো সম্পর্কে অনেকেই অবগত নই। তাই আজকে আপনাদেরকে ফাইবারে কাজ করতে হলে বা অনলাইনে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে হলে যে নিয়মগুলো রয়েছে বা ফাইভারে কাজ করার যে নিয়ম রয়েছে তা নিচে বিস্তারিত বলা হলোঃ 

একাউন্ট তৈরি করাঃ ফাইভারে কাজ করতে হলে প্রথমে এখানে একটি একাউন্ট করে নিতে হবে। একাউন্ট খুলতে গুগলের সার্চ বারে fiverr.com লিখে সার্চ করুন। Fiverr এর ওয়েবসাইটে ঢুকে সাইন আপ করুন। পর্যায়ক্রমে সকল ইনফরমেশন দিয়ে একাউন্ট টি কমপ্লিট করুন। তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন আপনি শুধু একটি একাউন্টই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আপনি যদি একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করা যায়

আপনার পার্সোনাল কোন ইনফরমেশন বায়ারকে না দেওয়াঃ আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথোপকথন করার পর যদি আপনার ক্লায়েন্ট আপনার ব্যবহার মার্জিত দেখে বা আপনার কাজের ধরন তার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে সে যদি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই তাহলে কোন মতে আপনার ফোন নাম্বার, ইমেইল অথবা অন্যান্য ব্যক্তিগত ইনফরমেশন গুলো তাকে শেয়ার করবেন না। 

কেননা ফাইভার যদি সেটি বুঝতে পারে তাহলে আপনার একাউন্ট টি বাতিল করে দিবে।। তাই আপনার সমস্ত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

গিগ ডিলিট না করাঃ কাজ পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আপনাকে গিগ পাবলিশ করতে হবে ।গিগ এর মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্ট পাবেন। তবে অনেকেই একটি ভুল কাজ করে থাকে যে তারা যেসব গিগ পাবলিশ করে সেসব পরবর্তীতে আবার ডিলিট করে দেয় কিন্তু একজন বায়ার সে কিন্তু আপনাকে আপনার গিগ দেখেই কাজ দিবে। 

একটি গিগ যখন পাবলিশ করবেন তখন সেটি ভালোভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি করে বা এসইও করে আপনাকে সেটি পাবলিশ করতে হবে। একটি গিগ আপনি যদি রেংক না করাতে পারেন তাহলে কিন্তু বায়ার আপনাকে ভালো পরিমাণে কাজ দেবে না। তাই আপনাকে গিগ রেংক করানোর চেষ্টা করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ এক বিটকয়েন সমান কত টাকা

ক্লায়েন্টের সাথে সদাচরণ করাঃ বায়ারের সংগে কোন বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক করবেন না। বায়ার না বুঝলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। তার সাথে অবশ্যই ভালো ব্যবহার করুন। না হলে কাজ হাত ছাড়া হতে পারে। বায়ার যদি আপনার বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে ফাইভারের কাছে রিপোর্ট করে তাহলে একাউন্ট টি বাতিলও হয়ে যেতে পারে।

ফাইভারের কন্ট্রাক্ট সাপোর্টে মেসেজ দেওয়াঃ বিশেষ করে যে সকল ব্যক্তিরা ফাইবারে কাজ করছে তারা অনেকেই বর্তমানে যে সকল ভুলগুলো করছে তা হল কোন ছোটখাটো সমস্যা হলেও তারা ফাইবারের কন্টাক সাপোর্টে মেসেজ দিচ্ছে । কিন্তু এই আচরণটি মূলত একদমই ঠিক নয়। বিশেষ করে বলা যায় যে কন্টাক সাপোর্টে হলো একজন ব্যক্তির সমস্যার সমাধানের জন্য। 

আপনার কোন সমস্যা নিয়ে যদি ফাইবার সাপোর্ট সেন্টারে কথা বলে থাকেন তাহলে তারা প্রথমেই আপনার প্রোফাইল চেক করবে এবং আপনার ঐ প্রোফাইলে বিন্দু পরিমান কোন সমস্যা থাকলে দেখা যেতে পারে আপনার প্রোফাইলটি চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। তাই কখনোই বড় ধরনের সমস্যা না হলে ফাইবারে সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করবেন না। বিশেষ করে আপনার যদি অতীব জরুরী প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি বাংলাদেশের যে সমস্ত ফাইবার কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

একাধিক আইপি ব্যবহার না করাঃ আপনারা কখনোই আপনার ফাইভারের আইডি একাধিক আইডি থেকে লগইন করবেন না, এতে আপনি নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, আপনি মূলত চেষ্টা করবেন যে এক আইডি থেকে ভাইভারে লগইন করার। এতে আপনার ফাইভার আইডিটি সেভ থাকবে। যদি পারেন আপনি রিয়েল আইপি কিনে ব্যবহার করুন। এতে আপনি ঝামেলা মুক্ত থাকবেন, এবং ফাইভার মার্কেটপ্লেসে ভালো ভাবে কাজ করে যেতে পারবেন। 

ক্লায়েন্টের মেসেজ পেলে দ্রুত রিপ্লাই দেওয়াঃ একজন ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে মেসেজ করবে তখন আপনি চেষ্টা করবেন যে আপনার সেই ক্লায়েন্টের মেসেজটি দ্রুত রিপ্লাই দিতে। কেননা আপনি যখন একজনকে দেরি করে মেসেজের রিপ্লাই দিবেন তখন সে হয়তো বা ভাববে যে সে যাকে কাজ দিচ্ছে সে একজন অলস ব্যক্তি এতে করে আপনার দুটি সমস্যা হয়ে থাকে। 

একটি হল আপনার ফাইভা্রে রেসপন্স কমে যাবে এবং ক্লায়েন্টের কাছে আপনার কাজ পাওয়ার আশা অনেকটাই কমে যাবে। 

সময় মত কাজ জমা দেওয়াঃ আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন যে আপনার ক্লায়েন্টের কাজটি অতি দ্রুত সম্পন্ন করার বা সময় মত কাজটি জমা দেওয়ার এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট যদি আপনার ক্লায়েন্টে দেওয়ার সময় আগে কাজ শেষ করে তাকে জমা দিতে পারেন তাহলে সে আপনাকে খুশি হয়ে বাড়তি কিছু ডলার দিতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ এক দিরহাম সমান বাংলাদেশের কত টাকা দেখে নিন ২০২৩

তাছাড়া সে যদি আপনার কাজটি পছন্দ করে এবং তাকে দ্রুত কাজটি জমা দেওয়ার জন্য সে আপনাকে পুনরায় কাজ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং আপনি যদি বায়ারকে রীতিমতো সময় অনুযায়ী কাজ জমা দিতে না পারেন তাহলে ফাইবারের নিয়ম অনুযায়ী আপনার ফাইবার প্রোফাইল ডাউন হতে থাকবে। এবং ক্লায়েন্ট আপনাকে বাজে রিভিউ প্রদান করবে তাই আপনি চেষ্টা করবেন যে বাইয়ারে দেওয়া সময় হতে তার আগে কাজটি জমা দেওয়ার।

শেষ কথাঃ

প্রিয় ফাইভার অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী বন্ধুরা আপনার অনেকেই ফাইবারের অ্যাকাউন্ট করার নিয়ম, ফাইবারে কাজ করার নিয়ম এবং ফাইবারে কোন কাজের বেশি চাহিদা রয়েছে এই সমস্ত বিষয়গুলি জানতে চেয়েছেন। আশা করি এই পোস্টের মধ্যে আপনাদের সঠিক উত্তর দিতে পেরেছি এবং এমন আরো নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url