অনলাইনে হালাল ইনকামের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

 

অনলাইনে হালাল ইনকাম যেমন করা যায় তেমন হারাম ইনকাম ও করা যায় । আবার হালাল ইনকাম করার মাধ্যম হল বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থেকে তাদের যে সকল কাজ গুলো রয়েছে সেই কাজগুলো আপনার নিজস্ব কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সেই কাজগুলো সম্পন্ন করা। আর অনলাইনে হারাম ইনকাম হল বিভিন্ন ধরনের খারাপ কার্যকলাপ বা গুগোল নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে যে অনৈতিক ভিডিও বা কনটেন্ট রাইটিং করে যেগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করে সেগুলোকে  হারাম ইনকাম বলা হয়।


পোস্ট সূচিপত্রঃ এক নজরে দেখে নিন

অনলাইনে হালাল ইনকাম

আপনারা অনেকেই জানেন না যে অফলাইনে যেমন হালাল ইনকাম করা যায় তেমনই পাশাপাশি অনলাইনে হালাল ইনকাম করা যায়। তাহলে অনলাইনে কিভাবে হালাল ইনকাম করা যায়? অনলাইনে হালাল ইনকাম করবেন যেভাবে তা হল বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানি রয়েছে ।  

তাদের মার্কেটপ্লেসে অনেক রকমের কাজ থাকে সেই কাজগুলো করতে দেয় এবং সে কাজগুলো করে দেয়ার জন্য যেসব কর্মচারী কাজ করে তাদের নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক প্রদান করে থাকে। তাই এটাকে বলা যায় অনলাইনে হালাল ইনকাম করা। 

কেন আমরা এটাকে হালাল ইনকাম বলতে পারি ? এই জন্য আমরা এটাকে হালাল ইনকাম বলতে পারি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানির মাধ্যমে যে কাজগুলো আমাদের দেয়া হয় সেই কাজগুলো করতে আমাদের শক্তি ও মেধার দুটোই খরচ হয় তাই আমরা এটাকে হালাল ইনকাম বলতে পারি।

হালাল উপার্জনের উপায় / হালাল ইনকামের উপায়

প্রাচীন যুগের মানুষ বিভিন্ন রকমের কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতো যেমন অনেকে কাঠ কাটত এবং বাজারে বিক্রি করতো তাতে তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু সভ্যতার বিকাশ ঘটতে ঘটতে বর্তমান সময়ে মানুষকে প্রাচীন যুগের সেই সকল কাঠ কাটার মত পরিশ্রম করতে হয় না । 

এখন মানুষজন অতি সহজে হাতের নাগালের মধ্যেই হালাল উপার্জনে ইনকাম করতে পারেন। যেমন সভ্যতার বিকাশ ঘটতে ঘটতে এখন মানুষ এর জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি আবির্ভাব ঘটেছে। তাই মানুষ এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হালাল উপার্জনে ইনকাম করে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ ফিচার ইমেজ তৈরির নিয়মাবলী

তন্মধ্যে হালাল ইনকামের উপায় যেমনঃ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে অতি সহজেই অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায় । এখন আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংকে হারাম পথের টাকা ইনকামের কথা বলে থাকি।

তবে আমরা মনে করি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করাটা হারাম ইনকাম নয়। কেন হারাম নয় কারণ আপনি সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে আপনাকে কিছু কাজ দেওয়া হচ্ছে এবং আপনি আপনার অবসর সময়ে সেই সকল কাজ গুলো করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারছেন তাই আমরা বলতে পারি ফ্রিল্যান্সিং করে হালাল ইনকাম করা যায় ।

হালাল ইনকাম এর জন্য কোন স্কিল সবচেয়ে ভালো

বর্তমানে হালাল ইনকাম এর জন্য যে স্কিলটি সবচেয়ে ভালো তা হল ডিজিটাল মার্কেটিং। কেন আমরা বলতে পারি যে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে হালাল ইনকাম করার স্কিল সবচেয়ে ভালো। আমরা মূলত এ কারণে বলতে পারি যে ডিজিটাল মার্কেটিং ইনকাম এর জন্য সবচেয়ে ভাল স্কিল। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে  আপনি অনায়াসে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি কোন গুলো থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে  আপনি ইমেল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি মার্কেটিং, ইত্যাদি আমরা মূলত এই সমস্ত বিষয় থেকে অনলাইনে হালাল  ইনকাম করতে পারি। 

আবার কেন আমরা বলতে পারি যে ডিজিটাল মার্কেটিং ইনকামের জন্য একটি ভাল স্কিল। আমাদেরকে এখানে কষ্ট করে পরিশ্রম করে নিজের মেধা খাটিয়ে এখান থেকে ইনকাম করতে হয় তাই বলতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের ইনকামের জন্য সবচেয়ে ভালো স্কিল।

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে বই

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে বইটি লিখেছেন মোঃ নুরুল্লাহ হোসাইন। আপনারা এই বইটি যদি কেউ পড়েন তাহলে অতি সহজে আপনার খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং পেশাটাকি আসলে হালাল না হারাম। আসলে  যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তারা কি হারাম বা হালাল ইনকাম করে।

আরো পড়ুনঃ র‍্যাম কি? র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?

এই বইটি পড়ে আপনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার কিভাবে হতে হয় সেই বিষয়ে  ধারণা পাবেন। এই বইটি পড়লে আপনার মনে যত সন্দেহের অবকাশ রয়েছে তা অতি সহজে কেটে যাবে। 

আপনি ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকাম এর খোঁজে বইটি পড়ে আরও জানতে পারবেন যারা অনলাইনে ইনকাম করে বা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ইনকাম টা কি হালাল না হারাম আপনি যে ইনকাম করতে যাচ্ছেন সেটা কি হালাল পন্থায় না হারাম পন্থায়।

হালাল উপার্জনের দোয়া

আল্লাহ তাআলা হলেন হালাল রিজিকের মালিক তিনি আমাদেরকে হালাল রুজির জন্য হালাল উপার্জন করতে বলেছেন। আর হালাল উপার্জন করার জন্য আল্লাহ তাআলা হালাল উপার্জনের দোয়া শিখিয়ে দিয়েছে্ন।

দোয়াঃ 


অনুবাদঃ আল্লা-হুম্মাকফি্নী বি-হালা-লিকা 'আন হারা-মিকা' ওয়াআগনীনি, বি ফাযলিকা আম্মান-সিওয়াকা ।

অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু থেকে বাঁচিয়ে আমাকে তোমার হালাল বস্তু দিয়ে আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও এবং তোমার ভিন্ন অন্য সকল হারাম বস্তু হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।(আয়াতঃ সহীহুল জামেয়ী-হাদিস নং-২৬২৫)

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

আমরা জানি যে হালাল হারাম সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে কিন্তু আমরা কি জানি না যে ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি হালাল না হারাম। আমি আপনাদের সাথে উপরের টপিক গুলোতে হালাল হারাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

সুতরাং পুনরায় বলছি যে ফ্রিল্যান্সিং যদি হালাল পন্থায় করা যায় তাহলে সেটি হালাল হবে আবার যদি আমরা হারাম পন্থায় উপার্জন করি তাহলে সেটি হারাম হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কিন্তু অনেকগুলো ধাপ রয়েছে সেগুলো যদি আমরা হালাল উপায় কাজ করে থাকি তাহলে সেটি হালাল হবে। 

আরো পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আবার আমরা এক কথায় বলতে পারি যে আমরা যে সকল কাজগুলো পরিশ্রমসাধ্য অনুসারে কাজ করে থাকি এবং সেই কাজের পারিশ্রমিক নেই সেটাই হলো হালাল ইনকাম। 

তাই আমরা পরিশেষে বলতে পারি যে ফ্রিল্যান্সিং পেশা হালাল-হারাম দুই ধরনের রয়েছে আমরা যদি হালাল পন্থায় উপার্জন করি তাহলে সেটা হালাল হবে। আর যদি হারাম পন্থায় উপার্জন করি তাহলে সেটি হারাম হবে।

বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় কি হালাল

আমি আপনাদেরকে হালাল হারাম সম্পর্কে উপরোক্ত বিষয়গুলো আগেই বলেছি। আসলে আমরা বিজ্ঞাপন দেখে যে টাকাটা আমরা আয় করি আসলে সেটা আমাদের জন্য হারাম হবে না হ্যাঁ আবার আমাদের জন্য হারাম হবে কোন বিষয়গুলো তা সম্পর্কে জেনে নেয়া আমাদের জন্য অতীব জরুরী। 

আসলে সেই বিষয়গুলো হলো যেগুলো মাধ্যমে মানুষ অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে মিশে থাকে এবং অবৈধ  পন্থায় আয় করার চেষ্টা করে সেটা হচ্ছে হারাম। আবার সেই বিজ্ঞাপনগুলোই হচ্ছে হালাল যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হয় এবং বৈধ পন্থায় আয় করার চেষ্টা করে তাই হল হালাল। 

আরো পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা আয় করুন পেমেন্ট বিকাশে বুঝে নিন ২০২২

তাই আমরা বিজ্ঞাপন দেখে বা অ্যাড দেখেও আমরা হালাল উপায়ে ইনকাম করতে পারি। সে সকল অ্যাড  গুলো বা বিজ্ঞাপনগুলো দেখে ইনকাম করাটা তখনই হালাল হবে যে অ্যাডগুলো দেখার  মাধ্যমে মানুষ  উপকৃত হবে বা কোন জ্ঞান অনুধাবন করবে। 

আবার সেটি থেকে সে কোন হালাল উপায়ে ইনকাম করার দিকনির্দেশনা পাবে। আবার সেই সকল বিজ্ঞাপনগুলো হচ্ছে হারাম যেগুলোর উপরে 18+ বয়সীদের  বিষয়ে বিভিন্ন খারাপ বা অনৈতিক অপপ্রচারের বিষয়াদি বিজ্ঞাপনে যুক্ত করা থাকে  সেই সকল বিজ্ঞাপন হল দেখে টাকা ইনকাম করাই  হচ্ছে হারাম।

ওয়েব ডিজাইন কি হালাল

আপনি অন্যের কোম্পানিতে বা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন থেকে কাজ করে বা পরিশ্রম করে যেহেতু তার পারিশ্রমিক হিসেবে যে টাকাটা আপনি নিচ্ছেন তাই আমার জানা মতে এটা হারাম হবে না একটি ওয়েব ডিজাইন তৈরি করতে হলে আপনাকে আপনার মেধাটিকে অনেক খাটাতে হয় এবং আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হয় যার ফলে আপনি যে টাকা ইনকাম  করবেন তা হারাম হবে না সেটা অবশ্যই হালাল। 

আবার একটি ওয়েব ডিজাইন তখনই আপনার জন্য হালাল হবে যখন আপনি সেটাকে ভালো কিছু ডিজাইন তৈরি করে গুগলে ছেড়ে দিবেন এবং তা থেকে মানুষ উপকৃত হবে হালাল পন্থায় ওয়েব ডিজাইন থেকে আয় করতে পারবে তখনই সেটা তার জন্য হালাল হবে। 

মনে রাখবেন একটি ওয়েব ডিজাইন তৈরি করতে হবে তার মধ্যে কখনো আপনাকে খারাপ হলো অবাঞ্ছিত ছবি তৈরি করা যাবে না যদি আপনি তা  করেন তাহলে অবশ্যই সেটা  আপনার জন্য হারাম।

অনলাইনে ইনকাম করা কি জায়েজ

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, যে 'সৎকর্ম ও তাকওয়াই তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করো মন্দ কর্ম ও সীমালংঘনকারীকে একে অপরকে সহযোগিতা কর । এবং আল্লাহকে ভয় করো । নিশ্চয় তিনি আজাব প্রদানে কঠোর। (সূরা মায়েদাঃ আয়াত-২)

সুতরাং আমরা এই সূরার বর্ণিত আয়াত থেকে বুঝতে পারি যে আমাদেরকে হালাল কাজে সহযোগিতা করতে হবে আর হারাম কাজকে বর্জন করতে হবে । নিশ্চয়ই অনলাইনে বা অফলাইনে ইনকাম করা  জায়েজ যদি না তার ভিতরে কোন হারাম বিষয়বস্তু রয়েছে।

হালাল উপার্জন কি

হালাল উপার্জন হলো বৈধ উপার্জন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে যে পন্থায় আমরা উপার্জন করে থাকি তাহলো হালাল উপার্জন। হালাল পন্থায় উপার্জন করা সকলের জন্য কল্যাণকর । 

আল্লাহর ইবাদত করা যেমন আমাদের জন্য ফরজ তেমনি হালাল উপার্জন করা ও আমাদের জন্য ফরজ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) বলেছেন তোমরা হালাল পন্থায় উপার্জন করো ও হালাল খাদ্য গ্রহণ কর। 

হালাল উপার্জন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,-হে ঈমানদারগণ, তোমরা একে অপরের সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ করো না। (বাকারা-২৩)

হালাল পেশা

হালাল পেশা হলো সেই সকল পেশা যেখানে হারামের স্থান নেই বা হারাম বর্জনীয়। যেমন আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি যে আসলে আমরা যে কাজগুলো করছি বা যে পেশায় নিয়োজিত আছি আসলে সে গুলোকি হালাল না হারাম।  

যেমন অনেকেই ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত আছি আবার  অনেকে সরকারের বিভিন্ন পদে চাকরি পেয়ে নিযুক্ত রয়েছি সুতরাং আমরা  আদৌ জানি না যে আমরা যে পেশাতে নিযুক্ত রয়েছি সেটা হালাল না হারাম। 

মূলত সেই পেশা গুলো হচ্ছে হালাল পেশা যেগুলোতে মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে এবং তার কষ্টসাধ্য অনুসারে সেই সকল কাজগুলো সম্পন্ন করে কিছু টাকা উপার্জন করে সেটি হচ্ছে হালাল  পেশা।

এই পোস্ট বিষয়ে সর্বশেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকের পোস্ট টা মূলত যেই বিষয়ে তা হলো অনলাইনে হালাল ইনকামের উপায় সম্পর্কে। আমরা সকলেই ইনকাম করি কিন্তু আদৌ আমরা জানি না যে আমরা যে ইনকাম টা করি তা আসলে কি হালাল না হারাম। আজকের এই পোষ্ট টা মূলত তাদের জন্যে যারা জানেন না যে অনলাইনে ইনকাম করাটা কি হালাল না হারাম। 

আমি আশা করি যে তারা এই পোষ্টটা পড়ে উপকৃত হবেন। সুতরাং আজকের এই পোষ্ট টা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করুন । এবং যদি হালাল বা হারাম বিষয়ক আরো কোনো কিছু জানার থাকলে বা আপনারা কিছু জেনে থাকলে তা আমাকে জানানোর জন্যে নিচের কমেন্ট বক্সে গিয়ে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url